বাংলায় ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে মরিয়া বিজেপি

বিজেপি (File Photo: IANS)

বাংলায় নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করতে এক প্রকার মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। শুধু বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব নয়, বাংলার ময়দানে নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন বিজেপির তাবড় তাবড় কেন্দ্রীয় নেতারাও।

বিজেপির দলীয় সূত্র মারফত জানা যায়, বাংলায় তৃণমূলের দুর্গ ভেঙে বিজেপির ক্ষমতা কায়েম করতে কমপক্ষে ৫০ জন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাকে বাংলায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। যারা আগত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে কলকাতায় নিজেদের ঘটি বানাবেন।

প্রত্যেকটি কেন্দ্রীয় স্তরে নেতাদের উপর রাজ্যের একেকটি জোনের দায়িত্ব দেয়া হবে। মূলত আগামী নির্বাচনের পূর্বে হাতে বেশ কিছুটা সময় রেখেই একে একে পশ্চিমবঙ্গে আসতে শুরু করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।


বুধবার কলকাতায় আসেন বিজেপি নেতা বিনােদ তাওরে ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দুষ্মন্ত গৌতম। দমদম বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি নেতা বিনােদ তাওরে তেমন কোনাে বক্তব্য না রাখলেও, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দুষ্মন্ত গৌতম বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার আসছে।

ভারতের জনগণ মােদিজীর ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছে যার কারণে ভারতীয় জনতা পার্টি সংগঠন এখন সবথেকে মজবুত। বাংলার জনগণেরও যাতে মােদিজীর উপর আস্থা সম্পূর্ণভাবে বজায় থাকে সে বিষয়ে নজর রেখেই নিরলস প্রয়াস করে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। আগামী দিনে তৃণমূলের আর ঠাই হবে না পশ্চিমবঙ্গে, আগামী নির্বাচনের পরে বঙ্গে বিজেপি আসছে।

সেইসাথে এদিন দিল্লিতে এক বৈঠকে যােগ দিতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ জানান, আগামী মাসে রাজ্যে ফের আসতে চলেছে অমিত শাহ অথবা জেপি নাড্ডা। কারণ এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রতিমাসেই রাজ্যে আসবেন। বিজেপি নেতাকর্মীদের মনােবল বাড়াতে, সেই সাথে তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে সকল প্রকার বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখবেন।

পাশাপাশি, আগামী নির্বাচনে বাম কংগ্রেসের জোট বিষয় সম্পর্কে দিলীপ ঘােষ বলেন, অধীর ও বিমানের বক্তব্য অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে, গত লােকসভা ভােটেও তারা জোট বেঁধে ভােটে জয়ী হতে এসেছিল, আর তার পরিবর্তে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বছরখানেক আগেও তাদের ভােট ৩২ শতাংশের আশেপাশে ছিল, এবার সেটা নেমে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এর মূল কারণ হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আর পেছনে তাকাতে রাজি নয়। তারা সকলকেই সুযােগ দিয়েছেন, এবং সবাই তাদের স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এবার তাই সাধারণ মানুষ অন্য সকল রাজনৈতিক দল ছেড়ে বিজেপির ওপর আস্থা রেখে লােকসভায় বিপুল পরিমাণে ভােট দিয়েছেন।

ধীরে ধীরে রাজ্যের প্রায় সকল মানুষেরাই যে বিজেপির ওপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন, তা বিভিন্ন স্থানে বিজেপির আন্দোলন বা কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখেই বােঝা যাচ্ছে। মানুষেরা নতুন বিকল্প চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টির মাধ্যমে। আর ভারতীয় জনতা পার্টিও সাধারণ মানুষকে সম্পূর্ণভাবে পরিষেবা দিতে তৈরি। আগামী নির্বাচনে তাই বিজেপির জয় নিশ্চিত।