নবান্ন অভিযান ছাত্র সমাজের ডাকে বলা হলেও এর নেপথ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে, এমনই অভিযোগ সামনে আসছে। পুলিশ ইতিমধ্যে নবান্ন অভিযানকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছে। নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে হিংসা ছড়ানো হতে পারে, এমনই আশঙ্কা পুলিশের। নবান্ন অভিযান নিয়ে বঙ্গ বিজেপি দ্বিধাবিভক্ত। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চাইছেন নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে মমতা বিরোধিতাকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এই অভিযানকে প্রথমে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপে পড়ে রাতারাতি তাঁরা সক্রিয় হয়েছেন এই অভিযান সফল করার জন্য।
নবান্ন অভিযান অরাজনৈতিক কর্মসূচি। তাই স্বাভাবিকভাবে এই অভিযানকে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা সামিল হন কিনা, তা নিয়েও যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ভালো ফল করতে ব্যর্থ। এমনই এক পরিস্থিতিতে নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার জন্য ভিতরে ভিতরে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু এত চেষ্টা করেও বিজেপির মরা গাঙে জোয়ার আসবে কিনা, তা সময়ই বলবে। ইতিমধ্যে নবান্ন অভিযানকে ঘিরে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনার অভিযোগে দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ। নবান্ন অভিযান সফল করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে স্থানীয় স্তরে নেতা-কর্মীদের পতাকা ছাড়া অভিযানে সামিল হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযানে সশরীরে না থেকেও এই অভিযানের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখার জন্য মরিয়া বিজেপি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। সংঘ পরিবারও এই অভিযান সর্বাত্মক করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্বেগের কথা গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল এই নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছেন। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনের কথা বলা হলেও ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে, এমনটাই বলার চেষ্টা করা হয়েছিল মমতা সরকারের তরফে। তবে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, শান্তিপূর্ণভাবে কোনও প্রতিবাদ আন্দোলন হলে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকার এই আন্দোলনকে দেখে ভয় পাচ্ছে। তাই মেঘের আড়ালে লড়াই করার চেষ্টা করছে। পুলিশকে সামনে রেখে এই আন্দোলনকে রোখা কোনওভাবেই সম্ভব হবে না। তবে ইতিমধ্যে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’-এর এক সদস্য পাঁচতারা হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও সেই নেতার নাম প্রকাশ্যে আসেনি। বঙ্গবিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা উদ্যোক্তা না হলেও এই আন্দোলনের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও অভিযোগ, ‘পুলিশ ও তৃণমূল একসুরে কথা বলছে।
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি সাংবাদিকদের জানান, ‘ছাত্রদের অধিকার রয়েছে প্রতিবাদ করার।