• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

‘রাজদণ্ড’ সেঙ্গলের অসম্মানে সপা সাংসদকে আক্রমণ বিজেপি-র

দিল্লি, ২৭ জুন: রাষ্ট্রপতির ভাষণের দিনেই সেঙ্গল নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সংসদে। সেঙ্গলকে রাজতন্ত্রের প্রতীক বলে অভিহিত করে সংসদ থেকে সরানোর আর্জি জানাল সমাজবাদী পার্টি। যা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ বিজেপি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী প্রোটেম স্পিকারকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি দাবি করেন, সেঙ্গল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে মানায় না। কারণ

দিল্লি, ২৭ জুন: রাষ্ট্রপতির ভাষণের দিনেই সেঙ্গল নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সংসদে। সেঙ্গলকে রাজতন্ত্রের প্রতীক বলে অভিহিত করে সংসদ থেকে সরানোর আর্জি জানাল সমাজবাদী পার্টি। যা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ বিজেপি।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী প্রোটেম স্পিকারকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি দাবি করেন, সেঙ্গল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে মানায় না। কারণ এটি রাজতন্ত্রের প্রতীক। যা যুক্ত্ররাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। সেজন্য আর কে চৌধুরীর পরামর্শ, সেঙ্গলকে সরিয়ে সেই স্থানে সংবিধানের কপি রাখা হোক। সপা সাংসদের এই প্রস্তাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি সাংসদরা। তাঁরা বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিজেপি-র মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা সপা সাংসদকে পাল্টা প্রশ্ন করেন। বলেন, ‘সেঙ্গল যদি রাজতন্ত্রের প্রতীক হয়, তাহলে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কেন সেটি গ্রহণ করেছিলেন? তিনি কি সেই প্রতীক ও রাজতন্ত্রকে মেনে নিয়েছিলেন?’

এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানান, এনডিএ-এর শরিক দলের নেতা চিরাগ পাসোয়ান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ বলেন, ‘কংগ্রেস ও তাঁর শরিকরা সবসময় ইতিহাসকে অবজ্ঞা করে। এই মানুষেরা ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। শুধুমাত্র বিভেদ সৃষ্টি করতে জানে।’

প্রসঙ্গত ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, ভারতের স্বাধীনতা প্রদান ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে লর্ড মাউন্টব্যাটনের হাত থেকে এই সেঙ্গলটি জওহরলাল নেহেরুর হাতে তুলে দেন সাদিয়াপা স্বামী। এরপর নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রাজদণ্ড প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকেই সেটি সংসদে রয়েছে।