দিল্লি, ৮ এপ্রিল: গত শুক্রবার লোকসভা ভোটে দলীয় ইস্তাহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় দল। এবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে তাঁরা দেশের মানুষের জন্য কী কী বিষয়ে কাজ করবে, তার একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছে। সেই ইস্তাহার নিয়ে আজ তীব্র আক্রমণ শানাল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কংগ্রেসের সেই ইস্তাহারকে তুষ্টিকরণের রাজনীতি বলে উল্লেখ করে দোষারোপ করল বিজেপি। আজ সোমবার দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা শতাব্দীপ্রাচীন এই দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন,’কংগ্রেসের ইস্তাহার দেখে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না, এটা কংগ্রেসের নাকি মুসলিম লীগের ম্যানিফেস্টো। কংগ্রেস নিশ্চয় এই তুষ্টিকরণ ও সংরক্ষণের ম্যানিফেস্টো নিয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ বহু সময় ধরে দেখার পর কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তা সত্ত্বেও তারা তুষ্টিকরণের রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে পারেনি। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রসঙ্গে একই দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ইস্তাহারে মুসলিম লীগের মতাদর্শের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। এই ইস্তাহারের প্রতি পাতায় দেশের শান্তি নষ্ট করার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মুসলিম লীগের চিন্তাধারা স্বাধীনতা আন্দোলনে বিঘ্ন ঘটিয়েছিল। কংগ্রেসের চিন্তাধারায় ঠিক সেই চিন্তাধারা প্রতিফলিত হচ্ছে। মোদী উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে নির্বাচনী শোভাযাত্রায় মিছিলের সময় এই কথা বলেন।
এদিকে দলের ইস্তাহার নিয়ে মোদী ও নাড্ডার এই সমালোচনা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আসলে মোদী ভয় পেয়েছেন। সেজন্য তাঁরা এবারের লোকসভা নির্বাচনে ১৮০ আসনের গন্ডি টপকানোর জন্য এই হিন্দু মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি করছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এদিন বলেন, বিজেপির আদর্শ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। তিনি জিন্নার মুসলিম লীগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা কখনও এই ধরণের চুক্তিবদ্ধ হননি। তিনি আরও বলেন, লালকৃষ্ণ আদবানি ও যশবন্ত সিং পাকিস্তানে গিয়ে জিন্নার প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু কোনও কংগ্রেস নেতা সেটা করেনি।’
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে একই দাবি করেন। তিনি বলেন, মতাদর্শগতভাবে মোদী, শাহরা তাঁদের পূর্বসূরি হিসেবে মুসলিম লীগ ও ব্রিটিশদের সমর্থন করে। যাঁরা ভারতীয়দের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল।