• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

প্রথম স্থান দখলে লড়াই বিজেপি ও আরজেডি’র

বিজেপি বনাম আরজেডি, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম হবে কোন দল তা নিয়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

প্রতিকি ছবি (Photo: PIB)

বিজেপি বনাম আরজেডি, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম হবে কোন দল তা নিয়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেডিইউ, প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে একে অপরকে টক্কর দিয়ে যাচ্ছে বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। যদিও এখনাে পর্যন্ত ভােট গণনা শেষ হয়নি তবে চলতি বছর নির্বাচনে বিহারের চিরাচরিত রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই বদলেছে তা বলাই বাহুল্য। 

প্রসঙ্গত, ভােট গণনা শুরু হতেই প্রথমের দিকে এগিয়ে ছিল মহাজোট। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মহাজোটকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় এনডিএ। যদিও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সেভাবে ম্যাজিক দেখাতে পারেননি নীতিশ কুমার। 

২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ৭১ টি আসন পেয়েছিল জেডিইউ। কিন্তু চলতি বছরেই সংখ্যার ধারেপাশে পৌছতে পারেনি তারা। অন্যদিকে মহাজোটের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। 

বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি রাজনৈতিক পরিচয় ইতিমধ্যেই গড়ে তুলেছেন তিনি। ভােটের প্রচারে বেকারত্ব, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা সহ একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরে এনডিএ-কে কোণঠাসা করতে শুরু করেছিলেন তেজস্বী যাদব। এমনকি তেজস্বীর বিরােধিতা করার জন্য ময়দানে নেমেছিলেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। 

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী ৭৬ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আরজেডি এবং ৭৩ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে কুড়িটি আসনে। যদিও প্রাথমিক গণনার পরেই ভবিষ্যৎ বিচার করা সম্ভব হবে না বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। 

উপ নির্বাচন কমিশনার চন্দ্র ভূষণ জানান, গননা প্রক্রিয়াতে কোনরকম ত্রুটি নেই। বিহারে এক কোটিরও বেশী ভােট গণনা হয়েছে। করােনা পরিস্থিতির জন্য চলতি ৬৩ শতাংশ পােলিং বুথ বেশি ছিল। তিনি আরাে বলেন, আগে ৩৮ টি জায়গা থেকে ভােট গণনা হত। কিন্তু করােনার জন্য তা ৫৫ টি জায়গা থেকে হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বিহার নির্বাচন তেজস্বী যাদবের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ভােট প্রচারে গিয়ে লালুপ্রসাদ যাদবের নাম পর্যন্ত কোথাও উচ্চারণ করেননি তিনি। প্রচার থেকে শুরু করে জনসংযােগ সমস্ত কিছুই একা হাতে সামলেছেন। এবার আরজেডি বিহার নির্বাচনে কিরকম ফলাফল করে তার ওপর অনেকটাই নির্ভর কছে তেজস্বী যাদবের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। 

অন্যদিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির জন্য অন্যতম বড় পরীক্ষা। করােনা মহামারীর পর এই প্রথম দেশে কোনও বড় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে করােনাকালীন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলির বিষয়ে সাধারণ মানুষের কি প্রতিক্রিয়া রয়েছে তা বিহার নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে অনেকটাই আন্দাজ করা সম্ভব হবে।