পাটনা, ২ জুন– বিহারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামকৃপাল যাদবের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন পাটলিপুত্রের বিজেপি প্রার্থী। সেই গুলি মন্ত্রীর গায়ে লাগেনি। বিহারের মাসাউরি এলাকায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
প্রসঙ্গত গতকাল সপ্তম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় পাটলিপুত্র কেন্দ্রে। সেজন্য এদিন পাটলিপুত্রের একটি বুথ পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন যান আরজেডি বিধায়ক রেখা পাসোয়ান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে আরজেডি বিধায়কের তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ওই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী রামকৃপাল যাদব। তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীদেরও শান্ত করেন। এরপর মাসউরি এলাকা দিয়ে ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের কবলে পড়ে যান। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় গুলি বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোনওক্রমে নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে পালিয়ে গেলেও তাঁর দলের সমর্থকরা দুষ্কৃতীদের হাতের নাগালে পড়ে যায়। বিজেপি সমর্থকদের আটকে রাখে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় মারধর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রামকৃপালের অনুগামীদের বিশাল একটি বাহিনী। তখন দুষ্কৃতীরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনার পর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন বিজেপি এই সমর্থকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, একসময়ে লালু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন রামকৃপাল যাদব। পরে তিনি শিবির বদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। গত ২০১৪ থেকে পাটলিপুত্র আসনে জিতে রামকৃপাল যাদব। এবারেও তিনি পাটলিপুত্র আসনে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েছেন। পাটলিপুত্রে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন লালু কন্যা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মিসা ভারতী। যদিও শেষ দুই লোকসভা নির্বাচনে রামকৃপালের কাছে হারতে হয়েছে লালু কন্যাকে।
পাটনা পূর্ব জেলার পুলিস সুপার ভরত সোনি জানিয়েছেন, ‘পাটনা-জেহানাবাদ রোডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামকৃপাল যাদবের কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে একটা অভিযোগ পেয়েছি। ওই হামলার জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কোনও ক্ষতি না হলেও জখম হয়েছেন তাঁর সমর্থকরা। এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে।’