আইনী রক্ষাকবচ পেলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২ জুন– বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়কের দাখিল করা মামলা। এদিন আইনি রক্ষাকবচ পেলেন বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে ভাস্কর ঘোষকে আইনি রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ‘আদালতের নির্দেশ ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ককে। তবে পুলিশ নিজেদের মতো করে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে ‘।

এর পাশাপাশি পুলিশকে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অভিযোগকারীর মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। আগামী ১৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এদিনের হাইকোর্ট চত্বরে ভাস্কর ঘোষের তরফের আইনজীবী জানান, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য ভাস্কর ঘোষকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। একাধিক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। যেভাবেই হোক তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছি। ১৬ মে ঘটনায় ভবিষ্যতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কাউকে যাতে গ্রেফতার না করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছি। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এই মুহুর্তে গ্রেফতার করা যাবে না আদালতের অনুমতি ছাড়া। তবে তদন্ত তদন্তের মতো চলতে পারবে।’

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মে বিভিন্ন দাবিতে পান্ডবেশ্বর থানা এলাকার চাইল্ড ডেভলপমেন্ট অফিসে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন আইসিডিএস-এর প্রায় দু’শো মহিলা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ-সহ একাংশ নেতৃত্ব। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, ডেপুটেশন ঘিরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন পড়ে গিয়ে চোট পান। আহত হন ভাস্কর ঘোষও। চাইল্ড ডেভলপমেন্ট অফিসের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পান্ডবেশ্বর থানায় এবং আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ভাস্করবাবু। পাল্টা হিসেবে সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আধিকারিকও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভাস্করবাবুর বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই মহিলা আধিকারিকের অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে থাকে এবং ভাস্করের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে। ওই মামলাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাস্কর। তাঁর অভিযোগ,”সেদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নষ্ট করতে দফতরের আধিকারিকরাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে পরে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিল। তাই বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।” আগামী ১৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।