• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পিটিয়ে মারার ঘটনা: কড়া পদক্ষেপ, হুঁশিয়ারি নবান্নের, ঘোষণা  ক্ষতিপূরণও

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনে রাজ্যে একের পর ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।  যা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। এবার এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা জানাল  রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করল নবান্ন। হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘আইন

নবান্ন। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনে রাজ্যে একের পর ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।  যা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। এবার এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা জানাল  রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করল নবান্ন। হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়। এর জন্য সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ঘটনা রাজ্য সরকারের নজরে এসেছে। পুলিশকে সর্বাধিক সতর্কতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। কড়া আইনানুগ পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে। মানুষকে জাগ্রত থাকতে হবে। এই সকল ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট নয়। তবে রাজ্য সরকারের তরফে মৃত পরিবারের সদস্যদের হোমগার্ডের চাকরি এবং দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।’’

গত কয়েকদিনের মধ্যেই কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, কখনও আবার চোর সন্দেহে রাজ্যে একাধিক ‘গণপিটুনি’র ঘটনা ঘটেছে। তাতে আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্তও হয়েছে। এ ছাড়াও রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায়  ঝাড়গ্রাম, কালনা, গাইঘাটা-সহ একাধিক জায়গায় এমন মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। ধরপাকড়ও শুরু করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহে মারধরের ঘটনায় মৃত্যু হয় মা এবং পুত্রের।

ঘটনাস্থলে থাকা একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার উপরে মা এবং পুত্রের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন কয়েক জন। চলছে বেধড়ক মারধর (যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করা হয়নি)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৌবাজার, সল্টলেক, ঝাড়গ্রাম-সহ আরও মোট পাঁচটি মৃত্যুর ঘটনার জন্য এবার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করল সরকার। তবে রাজ্য সরকার কোথাও ‘গণপিটুনি’র কথা উল্লেখ করেনি।