• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

‘আপনার গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া রাজাকারদের উপর রাগ করুন’, মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আক্রমণ আদিত্যনাথের

মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের দামামা বাজতেই শুরু হয়েছে প্রতিপক্ষ দলগুলির রাজনৈতিক তরজা। এমনই তরজায় জড়িয়ে পড়লেন যোগী আদিত্যনাথ এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গে অভিযোগ করেছিলেন, এখন সাধুবেশের নেতারাই  সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন। এরই জবাবে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মঙ্গলবার বলেন, 'কংগ্রেস প্রধান ভোটের জন্য তাঁর পরিবারের আত্মত্যাগের কথা ভুলে গেছেন।' খাড়গের শৈশবের কথা তুলে ধরে আদিত্যনাথ বলেন, কীভাবে হায়দরাবাদ নিজামের রাজাকাররা ১৯৪৮ সালে তাঁদের গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং তাঁর মা এবং বোনকে হত্যা করেছিল।  

মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের দামামা বাজতেই শুরু হয়েছে প্রতিপক্ষ দলগুলির রাজনৈতিক তরজা। এমনই তরজায় জড়িয়ে পড়লেন যোগী আদিত্যনাথ এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গে অভিযোগ করেছিলেন, এখন সাধুবেশের নেতারাই  সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন। এরই জবাবে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মঙ্গলবার বলেন, ‘কংগ্রেস প্রধান ভোটের জন্য তাঁর পরিবারের আত্মত্যাগের কথা ভুলে গেছেন।’ খাড়গের শৈশবের কথা তুলে ধরে আদিত্যনাথ বলেন, কীভাবে হায়দরাবাদ নিজামের রাজাকাররা ১৯৪৮ সালে তাঁদের গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং তাঁর মা এবং বোনকে হত্যা করেছিল।  

 
মহারাষ্ট্রের অচলপুরে একটি সমাবেশে এদিন বক্তব্য রাখেন যোগী আদিত্যনাথ। ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ অর্থাৎ ‘বিভক্ত হলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব’ এই স্লোগানে মানুষের মন জয় করতে উত্তরপ্রদেশে প্রাণপাত চেষ্টা করছেন তিনি।  এদিন আদিত্যনাথ তাঁর “বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে স্লোগান নিয়ে খাড়গের সমালোচনার জবাব দেন।তিনি বলেন, ‘আমি একজন যোগী, এবং আমার জন্য, জাতি প্রথমে আসে, যখন মল্লিকার্জুন খাড়গের জন্য, তুষ্টির রাজনীতি প্রথমে আসে।’ এর পরে তিনি ভারতে হায়দরাবাদে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় খাড়গের শৈশবের ট্র্যাজেডি বর্ণনা করেন।খাড়গের জন্ম নিজামদের দ্বারা শাসিত পূর্ববর্তী হায়দরাবাদ রাজ্যের বিদার অঞ্চলে।আদিত্যনাথ বলেন, ‘খাড়গে জি, আমার উপর রাগ করবেন না… আপনি যদি রাগ করতে চান তবে হায়দরাবাদ নিজামের উপর রাগ করুন। রাজাকাররা আপনার গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, হিন্দুদের হত্যা করেছে এবং আপনার মা, বোন, পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে দিয়েছে। এই সত্যটি দেশের সামনে আনুন যে যখনই তারা বিভক্ত হবে, তারা একইভাবে নির্মমতার শিকার হবে।’ আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘সত্যিটা  আজকের দিনে তুলে ধরুন। নাকি ভয় পাচ্ছেন, আপনার মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক নষ্ট হয়ে যাবে।’ 
 
বস্তুত যোগীর উগ্র হিন্দুত্বের প্রচারে মহারাষ্ট্রে মেরুকরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাতেই আপত্তি কংগ্রেস সভাপতির। খাড়গে সোমবার বলেছিলেন, ‘আজকাল অনেক গেরুয়াধারী সাধুদের দেখা যায়, নেতা হয়ে বসে আছেন। কেউ কেউ তো আবার ন্যাড়া মাথা করে মুখ্যমন্ত্রীও হয়ে বসে আছেন।’ খাড়গে বলেন, “কোনও সাধু কখনও বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গের মতো কথা বলতে পারেন না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে এই ধরনের ভাষা ‘সন্ত্রাসবাদী’রা ব্যবহার করত। উল্লেখ্য, মল্লিকার্জুন খাড়গের পূর্বপুরুষরা নিজামের শাসনাধীন হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। নিজামের আমলেই রাজাকারদের অত্যাচারে মৃত্যু হয়ে খাড়গের পরিবারের বহু সদস্যের। 
 
আদিত্যনাথের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান অজয় ​​রাই বলেছেন, খাড়গে সবসময়েই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কাজ করেছেন। ‘মল্লিকার্জুন খাড়গের পরিবারের সঙ্গে যাই ঘটুক না কেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সেই সময়ে, হিন্দু বা মুসলমান সকল শ্রেণীর মানুষ একত্রে দাঁড়িয়েছিল। খারগে যা বলেছেন আমরা সবাই সমর্থন করি।’
 
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জাতগণনার দাবি তুলে মহারাষ্ট্রে বিজেপির ‘হিন্দুত্ব’ ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরিয়েছিল কংগ্রেস। অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল বিজেপির হিন্দু ঐক্যের ডাক। লোকসভা ভোটের আগে ফের সেই হিন্দু ঐক্যকেই হাতিয়ার করতে মরিয়া বিজেপি। সেই লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে ‘ স্লোগানকে হাতিয়ার করছে গেরুয়া শিবির।