নারায়ণ দাস
এই ধরনের উদ্ভট, অবাস্তব এবং অবিবেচনাসুলভ প্রস্তাব বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতারাই করতে পারেন। দেশের বর্তমান অরাজকতা ও টালমাটাল পরিস্থিতি এবং শাসক দল আওয়ামি লিগের প্রচুর সংখ্যক নেতানেত্রীর পালিয়ে থাকার সুযোগ এবং তদারকি সরকার ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ভারত সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তা জেনে হতবাক। আর এই ডাক দিয়েছে জামায়েত ইসলামি, বিএনপি’র দোসর।
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ এই জাতীয় সঙ্গীতটি লেখা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের এই ডাক দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামিক নেতা আবদুল্লাহিল জামান আজমি। জামায়াতের এক নেতা অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউসুফের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করে এই দাবি জানিয়েছেন। জামায়াত নেতারা যুক্তি হিসেবে যা দাঁড় করিয়েছেন, তাও সম্পূর্ণ ভ্রা্ত এবং গানটির মর্মার্থ না বোঝার জন্য। তা হল— রবীন্দ্রনাথ নাকি শুধু ভারতের কথা ভেবে এই গানটি লিখেছেন, যা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে না।’ আসল কথা হল বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হল তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামি লিগের বিশিষ্ট নেতা রবীন্দ্রনাথের এই গানটিকেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রূপে গ্রহণ করেছিলেন। কারণ সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি গানটি রবীন্দ্রনাথ পূর্ববাংলায় থাকাকালীন বাংলার বিচিত্র রূপ, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শস্যভরা মাঠ এবং চারদিকে সবুজের সমারোহ দেখেই লিখেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু গানটি শুনে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘কবিগুরুর এই গানটিই হবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।’ আর জাতীয় পতাকা নিয়ে জামায়াতদের আপত্তি যে পতাকাটির মধ্যে ইসলাম ধর্মের কোনও চিহ্ন নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন বড় সুযোগ এসেছে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তন করা উচিত ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি।
তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র নেতারা জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের জামায়াতের দাবির বিরোধিতা করেননি সমর্থনও করেননি। যদিও জামায়াতে দলটি বিএনপির অন্যতম প্রধান শরিক। তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী ওয়ারি পার্টির মতো দল বর্তমান গণঅভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছিল। এই দলের নেতার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। আবার জামায়াতের এই দাবিকে নস্যাৎ করেছে বাংলাদেশের একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা— ‘উদিচী’ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথা বাংলাদেশব্যাপী পালন করার কর্মসূচি নিয়েছে। লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গাওয়া হচ্ছে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।’ সেই সঙ্গে জাতীয় পতাকাও ওড়ানো হয়। জাতীয়সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার যাতে অসম্মান না হয়, তার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।— এই কমিটি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জনগণকে নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা ওড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। ঢাকার রমনার কর্মস্থলে সম্প্রতি হাজার হাজার মানুষ মিলিত হয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে। সেই সঙ্গে জাতীয় পতাকাও ওড়ানা হয়। আয়োজকরা বলেছেন, তাঁরা জাতীয় পতাকার অসম্মান যেমন মানবেন না, তেমনই জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ বিভিন্ন মিছিলে গাওয়া হবে। আয়োজকরা কোনও প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়নি।
বাংলাদেশ স্বাধীনত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এই জাতীয় সঙ্গীতই গাওয়া হয়। যদিও তলে তলে জামায়াতেরা এই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিরোধিতা করে আসছিল। বিরোধিতা করেছে জাতীয় পতাকার ওড়ানোর বিরুদ্ধেও। বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসীন হয়েছিল, তখনও জামায়েত এবং কট্টর মৌলবাদী সংস্থা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। কিন্তু তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জামাতদের এ ব্যাপারে মদত দেননি। তবে তাঁর আমলেও বাংলাদ্শের জাতীয় পতাকা পরিবর্তন করার একটা চেষ্টা চলেছিল। কিন্তু যারা জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের পক্ষে ছিলেন, তাদের উৎসাহ যেমন দেখাননি, তেমনই তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নেননি।
এবার বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের পর জামায়াতে ইসলামীরা, কট্টরপন্থী মৌলবিরা এবং পাকিস্তানপন্থীরা উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের। তারা জাতীয় পতাকার একটা নকশা এঁকে জনসাধারণের মধ্যে বিলি করেন বলে শোনা যায়। তবে একটাই আশার কথা, যারা জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনে নেমেছেন, তারা দেশের সাধারণ মানুষের তেমন সমর্থন পাচ্ছেন না। অপর দিকে এই উভয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন দেশের কবি, সাহিত্যিকরা। তাঁরাও মিছিল-মিটিং করে জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয়সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে লড়বেন। সাধারণ মানুষের সাড়া পেয়ে তাঁরা উজ্জীবিত। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও জাতীয়সঙ্গীত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সমর্থন পেয়ে খুশি। কিন্তু জামায়েত নেতা বলেছেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, এই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিপক্ষে তেমনই তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকারও পরিবর্তন। সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে এই পরিবর্তন করা হোক। বাংলাদেশ যে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র (জামায়েতদের কথায়) তার ধর্মীয়রূপ দেওয়া হোক দেশের জাতীয় পতাকায়।
কিন্তু দেশের সংবিধানে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বলে বলা হয়নি। বলা হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। যদিও সংবিধানের প্রথম পরিচ্ছেদেই বলা হয়েছে কোনও অমুসলিম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রমনা রেসকোর্সের সাড়া জাগানো বক্তৃতায় বলেছিলেন, এদেশ হিন্দু ছাড়াও অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষ বাস করেন। তাঁদের রক্ষা করা আপনাদের কর্তব্য। আমাদের যেন বদনাম না হয়। তবে বিশেষ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তন নিয়ে কোনও মন্তব্য করেছেন বলে জানা যায়নি। অতীত ঘাটলে জানা যায়, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হল, তখন কবিগুরুর লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি দেশের জাতীয় সহ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তখন জামায়েত ও পাকিস্তানপন্থীরা তার ঘোরতর বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু তখন শেখ মুজিবুর রহমানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কোনও আন্দোলন করতে সাহস পায়নি।
রবীন্দ্রনাথের লেখা তিনটি গান তিন দেশের জাতীয় সঙ্গীত— ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথের লেখা গানেতে তামিল ভাষায় রূপান্তরিত করে গাওয়া হয়। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলায় সেদিন ভারত-বাংলাদেশ খেলা ছিল, সেদিন খেলার প্রারম্ভে ভারতীয় খেলোয়াড়রা যখন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গানে গলা মেলান বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও তেমনই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানের সাথে গলা মেলান ভারতীয় খেলোয়াড়রা। মাঠে উপস্থিত ভারত ও বাংলাদেশের সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত হন।
আমার সোনার বাংলা গানটি নিয়ে জামায়েতদের প্রধান আপত্তি ছিল গানে লেখা কথাটি নিয়ে ‘ওমা ফাগুনে তোর আসের বনে ঘ্রানে পাগল করে…’। মহম্মদ ইউনূস জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কিছু না বললেও তিনি দীর্ঘদিন হল ঝুলে থাকা তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে মুখ খুলে বলেছেন, এই সমস্যার অবশ্য সমাধান হওয়া বিশেষ জরুরি। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, তিস্তার জলের ভাগ হবে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসারে। ইউনূস বলেন, বলা হয়েছে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে কথা শুরু হয় যখন মনমোহন সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর কথায় এই আলোচনা শুরু হয়েছে তারও অনেক আগে— পাকিস্তানের শাসনকালে। তাঁর অভিযোগ, ভারত সরকারের কৌশল হল তিস্তা নিয়ে আলোচনা না তোলা। কিন্তু দীর্ঘদিন হল বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে কোনও দেশেরই লাভ হচ্ছে না। সুতরাং তিস্তার যে পরিমাণ জল বাংলাদেশের প্রাপ্য তা নিয়ে তিনি ভারতের সাথে দরবার করেই যাবেন বাংলাদেশের বর্তমান অসুবিধা সামলে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে তিস্তা থেকে যেটুকু পাওয়া যাবে তার পরিমাণ কম হলেও তা মেনে নিতে হবে। সুতরাং ইস্যুটার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হওয়া উচিত। তিস্তা নয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে— কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। সুতরাং আন্তর্জাতিক আইন মেনেই এই নদীর জলের সমাধান বিশেষ জরুরি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে আমরা যথাসম্ভব তাড়াতাড়িই আলোচনায় বসব।’
এদিকে মহম্মদ ইউনূস আন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েই বলেছিলেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও অত্যাচার হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। কিন্তু তিনি তা বলা সত্ত্বেও সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে এখনও আতঙ্কের মধ্যে বাস করছেন। গত অভ্যুত্থানের সময় তাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার ও পীড়ন হয়েছে। তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, আশার কথা হল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংখ্যালঘুরা বিশেষ করে হিন্দুরা এবার তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা ঢাকার বুকে মিছিল করে স্লোগান তুলেছে এ দেশ আমাদের। এই দেশ ছেড়ে আমরা কোথাও যাব না। তাদের এই প্রতিবাদে এই আন্দোলন সবার নজর কেড়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলেই আসছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার থামেনি। এখনও দুই কোটির ওপর হিন্দু রয়েছে বাংলাদেশে। অভ্যুত্থানকালে প্রচুর সংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ভারতে তথা পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সীমান্তে এসে জমা হয়েছিল। সবচেয়ে তাঁদের বেশি দেখা গিয়েছে কোচবিহার সীমান্তে। বিএসএফের এবং পুলিশের নজর এড়িয়ে উৎপীড়িত কিছু মানুষও এবার পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে। বাকিরা অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। এ ব্যাপারে বিএসএফকে সীমান্তে কড়া পাহারার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে আওয়ামি লিগের নেতারা এখনও পালিয়ে রয়েছেন বলে শোনা যায়। অনেকে জেলে রয়েছেন। এখন জাতীয় সঙ্গীতের এবং জাতীয় পতাকার পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই মিছিল-মিটিং করে জাতীয়সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে। জাতীয় পতাকার অসম্মান মানব না বলে স্লোগান তোলা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সামনেই দুর্গাপুজো। গতবার দুর্গাপুজোয় ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল— যার জন্য ভারতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এবার পুজো সুষ্ঠুভাবে হবে কিনা, তা নিয়ে হিন্দুরা আতঙ্কের মধ্যে থাকলেও পুজো হবে। হয়তো পুজোর সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে। অর্ন্তবর্তী সরকার এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়, তাই এখন দেখার। সরকার কর্তৃক অসমর্থিত একটি খবরে শোনা যায়, রাজশাহী ও বগুড়ায় প্রতিমা নির্মাণ নিয়ে কিছু গণ্ডগোল হয়েছে। পুলিশ যথোচিত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করেনি বলে জানা যায়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসুক, তারা তাই চায়। সম্প্রতি আন্দোলনে দেশের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। আশা করা যায় বাংলাদেশ সরকার সে ক্ষতি পুষিয়ে নেবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে মধুর সম্পর্ক বিরাজমান, তা বজায় থাকবে যে কোনও পরিস্থিতিতে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী অত্যন্ত দুঃখজনক।