অভিষেক রায় ,খড়গপুর , ১৬ জুলাই : খড়্গপুরে রথতলার মাঠে প্রথমে দুপক্ষের বচসা, পরে মারধরকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে । মারধরে জখম তৃণমূল কর্মীকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ।
সোমবার রাতে খড়্গপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে রথতলার মাঠে এক যুবকের সঙ্গে বচসা হয় আরও কয়েকজনের । পরে ওই যুবককে মারধর করে অভিযুক্ত যুবকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় অয়ন দাশগুপ্ত নামে ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অয়ন দাশগুপ্ত নামে ওই তৃণমূল কর্মী বলেন, রথ তলার মাঠে দাঁড়িয়ে একজনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তখন কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আমার উপরে চড়াও হয় কয়েকজন যুবক। তারা রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এরা কিছুদিন আগে সিপিআই করত। এখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। সিপিআই করার সময় আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে, পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে। এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মারধর শুরু করেছে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি অসিত পাল বলেন, সিপিআই থেকে রাতারাতি তৃণমূলে আসা লোকজনেরাই মারধর করেছে।
আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করছি। দলগতভাবেও আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। জেলা আইএনটিটিইউসি সহ-সভাপতি আয়ুব আলি বলেন, আমরা মারপিটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত আছি। কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। রথের মেলায় কথা কাটাকাটি থেকে মারপিট হয় বলে শুনেছি। আমি খবর পেয়েছি একজন হাসপাতালে আছেন। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাব। তৃণমূল কংগ্রেসে কেউ কারও অনুগামী নয়। আমরা সবাই দলের কর্মী। অন্যদিকে শিবাজী সিকদার নামে এক যুবকের অভিযোগ, তাঁকে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এআইটিইউসির জেলা সম্পাদক মিহির পাহাড়ি বলেন, তাঁদের কয়েকজন কর্মীকে ক্যাম্পাসের ভিতরে বিভিন্ন নির্মাণকারী সংস্থায় কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।