নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১ জুন– উত্তর কলকাতায় এবার বিজেপি জিতবে৷ রাজু নস্করের বাড়ি গিয়ে পায়ে নাক ঘষলেও সুদীপ বন্দোপাধ্যায় জিতবেন না৷ জিতবেন তাপস রায়৷ শনিবার জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এদিন সুকান্ত জানান, রাজ্যে শেষ দফা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি হিংসা হয়েছে৷ বিশেষ করে ডায়মন্ড হারবারে সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছে বলে এদিন অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার৷
এদিন ধূপগুড়িতে গ্রেফতার হওয়া দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে জলপাইগুড়ি আসেন সুকান্ত মজুমদার৷ সম্প্রতি ধুপগুড়িতে পুলিশ ও জনতা সংঘর্ষের জেরে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২১ জন বিজেপি সমর্থক ও কর্মীদের৷ এদিন প্রথমে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে যান সুকান্ত মজুমদার৷ সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়৷ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অসুস্থ রোগী, ছাত্র তাদেরকেও ধরা হয়েছে৷ এইভাবে পুলিশ প্রশাসন ধুপগুড়ি থানার আইসির নেতৃত্বে এসব করছে৷ ভয় দেখিয়ে টাকাও তোলা হচ্ছে৷
এদিন সংশোধনাগার থেকে বেড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমি তো বুঝি না, অভিষেক ডায়মন্ড হারবারকে ‘ডায়মন্ড হাবরা মডেল’ বলেন৷ সত্যি যদি ডায়মন্ড হারবার মডেল হয়, সেখানে যদি এত কাজ করেই থাকেন এবং উনি যদি দেশের এক নম্বর এমপি বলে নিজেকে দাবি করেন তাহলে ভোটে এত ভয় কেন? আজকে ডায়মন্ড হারবারে এত সন্ত্রাস কেন?” তাঁর অভিযোগ ফলতায় ভোটারদের বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি৷ ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ববিকে এক ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল৷ তাকে বিভিন্ন এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ তাঁর কথায়, এত কিছুর পরও কিন্ত্ত তৃণমূলের থেকে একটি হলেও বেশি আসনে জিতবে বিজেপি৷ তিনি বলেন, “বিজেপি ৩০ আসনের টার্গেট নিয়েছে৷ এতটুকু নিশ্চিত এবার তৃণমূলের থেকে একটি হলেও বেশি সিট আমরা জিতব৷”