অবশেষে রানাঘাট দক্ষিণে ঘাসফুল ফোটালেন মুকুটমণি, উচ্ছ্বাস দলীয় কর্মীদের

অঙ্কিতা আচার্য, নদিয়া: লোকসভা নির্বাচনের দেড় মাসের মাথায় খেলা ঘুরে গেল। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা আসনটি উপনির্বাচনে জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। শনিবার সকাল থেকেই গণনার রাউন্ড যত এগিয়েছে, ততই পিছিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে বিজেপি এখন মাঠ ছেড়ে পালাতে চলেছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট আসন জিতে নেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস এখানে জেতেনি। দল বিধানসভা উপনির্বাচনে ফের মুকুটের ওপর ভরসা রাখে। অবশেষে রানাঘাট দক্ষিণে জয়লাভ করলেন মুকুটমণি।

মুকুটের জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই গণনাকেন্দ্রের বাইরে বিজয় উল্লাস শুরু হয়। দলের পতাকা হাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তাই নিয়ে টানটান উত্তেজনা ছিল গণনাকেন্দ্রে। তাঁকে ঘিরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ওঠে বলে অভিযোগ তুলে গণনাকেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাস। পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়।

রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে মুকুটমণি জয়ী হন প্রায় ৩৯ হাজার ৩৮ ভোটের ব্যবধানে। জয়ের পর মুকুটমণি বলেন, বিজেপি মানুষের খবর রাখে না। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের কথা বিজেপি ভাবে না। এটা মানুষ বুঝে গিয়েছে। বিজেপি নেতারা এখন কামিনী কাঞ্চন নিয়ে ব্যস্ত। মানুষের এই ভাবনারই প্রতিফলন ঘটল আজকের ফলে। আমি খুশি। মানুষের আস্থাকে সম্মান জানাতে আমি তৈরি।


উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তারপর থেকে এই আসনে জয় অধরাই থেকে যায়। ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ঘাসফুল ফোটেনি রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে। এবার সেই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল বিজেপি থেকে আসা মুকুটমণি অধিকারীকে। লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। লোকসভায় জিততে না পারলেও বিধানসভায় জয়ী হলেন তিনি।