নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯৫৪ সালে বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধানচন্দ্র রায়ের হাত ধরে পথ চলা শুরু করেছিল তন্তুজ ৷ সেই বছর ওয়েস্ট বেঙ্গল উইভার্স কো-অপারটিভ মার্কেটিং সোসাইটি লিমিটেডের অধীনে নথিভুক্ত হয় তন্তুজ ৷ সেসময় তন্ত্তজের কার্যালয় তৈরি হয়েছিল ২১ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের সংযোগস্থলে একটি বাড়িতে৷ তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে তন্ত্তজের প্রসার৷ অবশেষে ১৯৯১ সালে তৎকালীন বাম সরকারের হাত ধরে তন্ত্তজ ভবন স্থায়ী ঠিকানা পাই৷ সল্টলেক সেক্টর-১ এর ডিডি ব্লকে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে তন্তুজ ভবন৷
তবে আশির দশকে দেশব্যাপী খ্যাতি পেলেও নব্বইয়ের দশকে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে তন্তুজ ৷ ২০১১ সালে রাজ্যে নতুন সরকারের হাত ধরে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় এই দেশীয় বস্ত্র বিপণন সংস্থা৷ বর্তমানে সমগ্র দেশে তন্ত্তজের মোট ৭৪টি বিপণন কেন্দ্র রয়েছে৷ যার মধ্যে রাজ্যে রয়েছে ৫৯টি এবং ভিন রাজ্যে রয়েছে আরও ১৫টি৷
এই বর্ষে তন্তুজ পা রেখেছে ৭০ বছরে৷ এই উপলক্ষ্যে শুক্রবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল এক অনুষ্ঠানের৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তন্তজের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়, রাজ্যের ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথসহ আরও অন্যান্য বিশিষ্টরা৷
এদিন বক্তব্য রাখতে উঠে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, ‘এখানে আসার পিছনে আমার ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে৷ প্রতিবছর পুজোর আগে আমি তন্তুজে যায়৷ বাড়ির মহিলাদেরও নিয়ে যায়৷ আমার কাছে তন্তুজ অত্যন্ত প্রিয় জায়গা৷’ একই সঙ্গে তিনি বিধানসভায় তন্তুজের স্টল দেওয়ার অনুরোধও জানান কর্তৃপক্ষের কাছে৷
অন্যদিকে এ দিনের অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল পুরস্কার বিতরণের৷ পুরস্কার দেওয়া হয় পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী বীরেন কুমার বসাককে৷ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় গৌড়চন্দ্র বসাকের মতো প্রতিভাবান শিল্পীদের হাতেও৷ একই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত তাঁত বস্ত্র প্রস্তুতকারক গোষ্ঠীর হাতেও তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার৷