আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ধরনায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিহত আনিস খানের বাবা। সালেম খানের সেই আবেদনে সাড়া দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শ্যামবাজারে ধরনা অবস্থানে বসার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে হাজির হন আনিসের বাবা। আনিসের বাবাকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধরনা চালাতে পারবেন। ১২ ফুট বাই ১৫ ফুট স্টেজ বানানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত। ৩০০ লোক নিয়ে অবস্থানে বসতে পারবেন সালেম খান। মানতে হবে শব্দবিধি। এর আগে আনিস খানের বাবা ও দাদা অভয়ার বিচার চেয়ে শ্যামবাজারে ডিওয়াইএফআইয়ের ধরনামঞ্চে অংশ নেন। এবার তিনি নিজে ধরনায় বসতে চান।
তবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ধরনা মিছিল নানা কর্মসূচি চলছে। এই আবহে অনুমতি নিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার আদালত অনুমতি দিল। হুগলির ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। অভিযোগ ওঠে তাঁকে ছাদ থেকে ফেলে মেরে দেওয়া হয়। তাঁকে যে ধাক্কা মারে, তাঁর পরণে পুলিশের উর্দি ছিল এমনও অভিযোগ ওঠে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, আনিসের মাথায় গভীর ক্ষত, শরীরে বেশ কিছু হাড় ভাঙা ছিল। মাথার খুলির পিছন দিক থেকে ডান কানের উপর পর্যন্ত গভীর ক্ষত। ডান দিকের কপালেও ক্ষতচিহ্ন। সেই মৃত্যু এতটাই নৃশংস ছিল যে, খুলির বাঁ দিকের হাড় ভেঙে ঘিলু বেরিয়ে এসেছিল। ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন বৃদ্ধ সালেম। আবারও পথে নামছেন তিনি। এবার আরজি কর হাসপাতালে নারকীয় ঘটনার সুবিচার চেয়ে।