আড়াই লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে প্রত্যর্পণ করতে পারে আমেরিকা

নিউ দিল্লি: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা জুড়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। যার ঢেউ আছড়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সেই রাজনৈতিক ঝড় আছড়ে পড়ল ভারতেও। আমেরিকার রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যেই চিন্তিত সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, প্রত্যর্পণের আশঙ্কায় ভুগছেন আমেরিকায় বৈধ অভিবাসী দম্পতিদের আড়াই লক্ষের বেশি সন্তান। তালিকায় রয়েছেন অধিকাংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনটাই তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, শৈশবে মা-বাবার সঙ্গে যাঁরা আমেরিকায় গিয়েছিলেন, সেইসব ‘ডকুমেন্টেড ড্রিমার’রা রীতিমতো আতঙ্কিত।

এই আইনি অচলাবস্থার জন্য রিপাবলিকানদের দায়ী করেছে হোয়াইট হাউস। তাদের অভিযোগ, দু’বার দুই দলের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে তা ভেস্তে দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল। এবিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জানান, ‘ডকুমেন্টেড ড্রিমারদের সাহায্য করতে চুক্তি তৈরির চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু রিপাবলিকানরা দু’বার তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি আইন অনুযায়ী, ২১ বছরের নীচে থাকা অবিবাহিত ব্যক্তিকে শিশু হিসেবে ধরা হয়। নির্ধারিত বয়সের আগেই বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিজেকে নথিভুক্ত করে প্রত্যেকেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ২১ বছর হওয়া সত্ত্বেও মেলে না গ্রিন কার্ড। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আর শিশু বা নির্ভরশীল হিসেবে গণ্য করে না মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থা। সম্প্রতি মার্কিন নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন পরিষেবা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল দ্য ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি। ২ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছিল গবেষণা। সেখানে জানা গিয়েছে, শিশু সহ ১২ লক্ষের বেশি ভারতীয় গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন।


অথচ ২১ বছর হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ‘নির্ভরশীল’-এর তকমা হারিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও তাঁরা গ্রিন কার্ড (ইবি-১, ইবি-২, ইবি-৩) পান নি। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফের নতুন করে আবেদন করতে হবে। গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে পুনরায় আবেদন করার যোগ্যতাও হারাতে পারেন। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সেক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ ছাড়া আর কোনও থাকবে না।