নিজস্ব প্রতিনিধি— ১৯শে এপ্রিল থেকেই শুরু হচ্ছে নির্বাচন৷ আর প্রথম দফার ভোট রয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুডি় ও আলিপুরদুয়ারে৷ তাই কোমর বেঁধে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের৷ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে “আমার বুথে আমি সাথে” এই স্লোগান তুলে পরিকল্পনা মাফিক বুথে বুথে প্রচার শুরু করলো তৃণমূলের মহিলা সংগঠন৷ কোচবিহার থেকেই শুরু হলো এই নির্বাচনী প্রচার৷
গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মালা রায় এই বুথভিত্তিক প্রচারের বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন৷ তারই বাস্তবায়ন হলো রবিবার৷ এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দুই বা ততোধিক মহিলার একটি দল নিয়ে বেরোন প্রচারে৷ বুথভিত্তিক প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের হাতে তুলে দেন একটি করে প্যামপ্লেট বা পুস্তিকা, যার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে ‘দিদি গ্যারান্টি’ বনাম ‘মোদি গ্যারান্টি’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুফল, কার্যকারিতা, বরাদ্দ বৃদ্ধি ইত্যাদি৷ সর্বশেষে ওই নির্দিষ্ট বাড়িতে ‘জনতার গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’ এই স্লোগান লেখা একটি দলীয় স্টিকার লাগিয়ে দেন চন্দ্রিমা৷ এককথায়, ঘরে ঘরে গিয়ে জনসংযোগের পথ বেছে নিচ্ছে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন৷ পাশাপাশি এদিন চন্দ্রিমা নিজে কথা বলেন বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে৷
দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে নারীদের ক্ষমতায়ন থেকে তাদের স্বাবলম্বী করা, সবই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অসংখ্য নারী উন্নয়নমূলক প্রকল্পের হাত ধরেই৷ এবার নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই প্রকল্পগুলির খতিয়ান তুলে ধরতেই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তৃণমূলের মহিলা সংগঠন৷ তাদের উদ্দেশ্য, মহিলাদের সমর্থন আদায় এবং মোদি গ্যারান্টি সম্পর্কে ভুল ভাঙানো৷ নারীদের কাছে টানতে এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্যই এই পদক্ষেপ তৃণমূলের তরফ থেকে৷
এটি ছাড়াও বেশ কিছু নয়া কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন৷ নিত্য নতুন স্লোগান দিয়েছেন৷ মহিলারা ছোট বড়ো বিভিন্ন কর্মী সভা করবেন ‘বাঁধন আঁচলের, জয় তৃণমূলের’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে৷ ‘সবাই বলো, লক্ষ্মী এলো’ এই স্লোগান তুলে সেই সকল লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে প্রচার চালানো হবে বা জনসভা, পথসভা করা হবে যেখানে মহিলা প্রার্থীরা লড়ছেন৷ নারী মানেই সে লক্ষ্মী, এই বার্তাই দেওয়া হবে স্লোগানের মাধ্যমে৷