• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও সঙ্কট কাটেনি মুকুলের, বলছেন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শারীরিক সঙ্কট কাটেনি! এখনও ঘোরের মধ্যেই আছেন বঙ্গ রাজনীতির প্রবীণ নেতৃত্ব মুকুল রায়। তবে, মুকুল বাবুর শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে পূর্বের তুলনায়। ভেন্টিলেশনে না থাকলেও অক্সিজেন চলছে মুকুলের, এমনটাই জানাল হাসপাতাল। তাঁর সুস্থতা কামনায় রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার মুকুলের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তারপরেই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শারীরিক সঙ্কট কাটেনি! এখনও ঘোরের মধ্যেই আছেন বঙ্গ রাজনীতির প্রবীণ নেতৃত্ব মুকুল রায়। তবে, মুকুল বাবুর শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে পূর্বের তুলনায়। ভেন্টিলেশনে না থাকলেও অক্সিজেন চলছে মুকুলের, এমনটাই জানাল হাসপাতাল। তাঁর সুস্থতা কামনায় রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার মুকুলের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তারপরেই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার মুকুলের শারীরিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে। যে অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, পরিস্থিতি তার চেয়ে এখন ভাল। তবে এখনও তিনি সঙ্কটজনক অবস্থাতেই রয়েছেন। তাঁকে আইসিইউতে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। এখন ভেন্টিলেশনে না থাকলেও অক্সিজেন দিতে হচ্ছে মুকুলকে। কলকাতার ফুলবাগান এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল দল। সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ এসএন সিংহ। তা ছাড়াও এই দলে বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা রয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে।

তবে কি হয়েছিল মুকুলের? পরিবার সূত্রে খবর, গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কাঁচরাপাড়ায় নিজের বাড়িতে বাথরুমের সামনে পড়ে গিয়ে চোট পান মুকুল। জ্ঞানও হারান। এরপর রাত ১১টা নাগাদ বেসরকারি হাসপাতালটিতে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, মুকুলের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। তার পর থেকে তাঁকে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছে। তবে অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন হচ্ছে মুকুলের।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মূলস্রোতের রাজনীতিতে মুকুলের দেখা মেলেনা। একাধিক শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে প্রবীণ নেতার। কাঁচরাপাড়ায় যুগল ভবনের দোতলায় থাকতেন মুকুল। ২০২১ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগছেন। পাশাপাশি, ডিমেনশিয়াও রয়েছে তাঁর। এই বছরের এপ্রিল মাসেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। দু’মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আবার দুর্ঘটনার শিকার হলেন মুকুল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বঙ্গ রাজনীতির পরিচিত মুখ মুকুল রায়। নিজের রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে মুকুল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং তাঁর জনপ্রিয়তা গড়ে ওঠে। রাজ্য রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

দীর্ঘদিন তৃণমূলে থাকার পরে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে তিনি জয়ী হয়েছিলেন পদ্মপ্রার্থী হিসেবে। জেতার পর জুন মাসেই তিনি আবার ফুলবদল করে ‘নিজ ঘর’ তৃণমূলে ফেরেন। এরপর তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। মুকুলকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন চলেছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। তারপর হঠাৎ করেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে উধাও হয়ে যান মুকুল। রাজনৈতিক মহল থেকে শোনা গিয়েছিল, তিনি অসুস্থ। বর্তমানে সুস্থতার দিকে এই এগোচ্ছেন প্রবীণ নেতা। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় রাজনৈতিক মহল।