‘সমস্ত রিপোর্ট জমা দেব’, বাংলার এলাকা ঘুরে জানিয়ে গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা- লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে৷ কোথাও শাসক আবার কোথাও বিরোধীদের আক্রান্ত হয়েছেন৷ তবে  ভোট মেটার পর বাইরে বের হতে পারছেন না  বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা, অভিযোগ জানিয়ে রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে  গেরুয়া শিবির৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই বাংলায় এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল৷ ঘুরে দেখেন সেই সব এলাকা যেগুলিকে হিংসাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই তাঁরা বলে গেলেন ‘সব রিপোর্ট জমা দেব’৷

বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার সেই সব এলাকা ঘুরে যান যেখানে ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার করে ঘরছাড়া করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ অভিষেক  বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকা   দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার আধারবেডি় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আধারবেডি় গ্রামে যান  তাঁরা৷ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিপ্লব দেব, রবিশংকর প্রসাদ৷ তাঁদের সঙ্গে বাংলা থেকে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, ফাল্গুনি পাল সহ চার বিজেপি সাংসদ৷ তাঁরা কথা বলেন  বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে৷ কেন্দ্রীয়   বিজেপি নেতৃত্ব  দাবি করেছে যে ভোটের পর থেকে যারা বিজেপি করতেন তাঁরা তৃণমূলের অত্যাচারে ঘর ছাড়া৷

অভিযোগ, গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে গিয়েছে৷  তৃণমূলের  গুন্ডাদের ভয়ে বাডি় ফিরতে পারছেন না তাঁরা৷ মহিলারাও আতঙ্কে রয়েছেন৷ বাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিপ্লব দেব বলেন, “মহিলারা গ্রামে গঞ্জে থাকতে পারছেন না৷  আমাদের পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ বিজেপি কর্মীদের ন্যায় দিতে যা যা করতে হবে করব৷ সব রিপোর্ট দেব৷ ” শুধু বিপ্লব দেব নয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে থাকা আরও এক সদস্য রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, “ চারিদিকে ভাঙা বাডি়৷  গ্রামে ঢুকতে পারছে না পুরুষরা৷’’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কোন সন্ত্রাস চলছে বলেও প্রশ্ন  তুলেছেন তিনি৷


তবে মঙ্গলবার পিড়িতদের দেখতে গিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় দলকে৷  বিজেপির কর্মীরা আমতলায় কেন্দ্রীয় দলের সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের গাডি় আটকে বিক্ষোভ দেখান ৷ তাঁরা  বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ সরদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন৷