বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা

Written by SNS June 13, 2024 9:05 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, ১৩ জুন– বৃহস্পতিবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা। এদিন দুপুরে বিধানসভায় এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। মাদারিহাট বিধানসভা থেকে পর পর দু’বার বিধায়ক হয়েছিলেন মনোজ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতার পদ দিলে শান্ত স্বভাবের মনোজ হয়েছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক। তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীত হওয়ার পর বিধানসভায় খালি হল মোট ১০টি বিধায়ক পদ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে মনোজ আলিপুরদুয়ার লোকসভা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি জয়ী হলে তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।

এছাড়াও এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে লড়াই করে বিধায়ক থেকে সাংসদ হয়েছেন জুন মালিয়া, জগদীশ বসুনিয়া, হাজি নুরুল ইসলাম, পার্থ ভৌমিক এবং অরূপ চক্রবর্তী। তৃণমূলের এই সকল সদস্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আগেই। ফলে ছয় আসন খালি হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের পর। অন্যদিকে, রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদা থেকে বিশ্বজিৎ দাস এবং রানাঘাট দক্ষিণ আসন থেকে মুকুটমণি অধিকারী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে লোকসভায় প্রার্থী হলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন তাঁরাও।

এদিকে ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের প্রয়াণের পর খালি হয়েছে মানিকতলা বিধানসভা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের ফলাফল নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। যে কারণে মানিকতলার উপনির্বাচন এতদিন আটকে ছিল। সম্প্রতি আদালত থেকে কল্যাণ সেই মামলা তুলে নেওয়ায়, আগামী ১০ জুলাই ভোট হবে মানিকতলায়। ওই দিনই ভোট হবে রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণে। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সাংসদ মনোজ বলেন,‘‘গত ৮ বছর বিধানসভার সদস্য হিসেবে কাজ করে অনেক শিখেছি। সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগবে সংসদে। তবে খারাপ লাগছে, পুরনো সঙ্গীদের ছেড়ে যেতে হবে।’’ মনোজের পদত্যাগের পর তাঁকে তাঁর সংসদের কর্মজীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানান স্পিকার। বিমান বলেন, ‘‘বিরোধী দলের সদস্য হিসেবে আমরা মনোজের থেকে সব সময় সহযোগিতা পেয়ে এসেছি। ঠান্ডা মাথায় সব সময় শেখার এবং সহযোগিতার মন নিয়ে কাজ করেছে। আশা করব ওই অভিজ্ঞতা সংসদে‌ কাজে লাগবে।’’