নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : দলের নির্দেশ মতোই কাজ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। কাঁথি থেকে কলকাতায় ফিরে সোমবার বিধানসভা ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেওয়ার কথা ছিল অখিল গিরির। তার আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব অখিলকে ফোনে জানিয়েছেন, ইস্তফাপত্রটি হোয়াটসঅ্যাপে ছবি তুলে পাঠিয়ে দিতে হবে। সেই মতো, সোমবার সকালে এমএলএ হস্টেল থেকে রওনা হয়েও গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে আবার অখিল ফিরে যান। সেখান থেকেই ইস্তফাপত্রটি হোয়াটসঅ্যাপে ছবি তুলে পাঠিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যসচিবের দফতরে। ইস্তফাপত্র পাঠানোর পরে বেরিয়ে অখিল জানান, তিনি বিধানসভায় যাচ্ছেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হবে না। বন দফতরের বিরুদ্ধে তাঁর যা অভিযোগ, তা তিনি পরে লিখিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। অখিল আগেই জানিয়েছেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিধায়ক রয়েছেন। তিনি নিজের কেন্দ্র রামনগরে বিধায়ক হিসাবে কাজ করবেন। অখিলের হাত থেকে ইস্তফাপত্র না নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা গ্রহণ করায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অখিলের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎও করতে চাইছেন না। দলের হয়ে আর কাজ করবেন কিনা এ প্রসঙ্গে অখিলকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “আমি তো মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি এখনও তো বিধায়ক। রামনগরের জনপ্রতিনিধি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে সেখানকার কাজ করব।” বিধানসভায় যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, একজন সাধারণ সদস্য হিসাবে তিনি বিধানসভায় যাবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বন দফতরের এক মহিলা আধিকারিককে কুকথা বলার ঘটনায় রবিবারই তৃণমূলের তরফে অখিলকে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। অখিল দলের সেই নির্দেশ মেনেও নেন। রবিবারই কাঁথিতে বসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে অখিল জানিয়েছিলেন, তাঁর ইস্তফার বয়ান লেখা হয়ে গিয়েছে। সেটি তিনি ই-মেলে পাঠিয়ে দেবেন। কাগজে লেখা ইস্তফাপত্রটি সোমবার কলকাতায় এসে জমা দেবেন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেই মতো, সোমবার সকালে পদত্যাগপত্রটি নিয়ে গাড়িতে রওনা হন অখিল। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরেই থমকে যায় অখিলের গাড়ি। দেখা যায়, গাড়িতে বসেই পদত্যাগপত্রে সই করছেন অখিল। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের অখিল বলেন, “মুখ্যসচিব ফোন করেছিলেন। উনি বলেছেন পদত্যাগপত্রটি ওঁকেই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিতে এবং হার্ড কপি পরে জমা দিতে। সেটাই করব।”