• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নীতি আয়োগের বৈঠকের পরেই মাঝরাতে ৯টি রাজ্যের রাজ্যপাল পদে পরিবর্তন রাষ্ট্রপতির, বাংলাতে কবে?

দিল্লি, ২৮ জুলাই: শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকের পর বড়সড় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের ৯টি রাজ্যের রাজ্যপাল পদে পরিবর্তন। এই ৯টি রাজ্যের মধ্যে ছয়টি রাজ্যের শূণ্যপদে নিয়োগ করা হয়েছে নতুন রাজ্যপাল। পাশাপাশি আরও তিনটি রাজ্যের রাজ্যপাল বদল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিকিম, অসম, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে রাজ্যপাল পরিবর্তন করা

দিল্লি, ২৮ জুলাই: শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকের পর বড়সড় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের ৯টি রাজ্যের রাজ্যপাল পদে পরিবর্তন। এই ৯টি রাজ্যের মধ্যে ছয়টি রাজ্যের শূণ্যপদে নিয়োগ করা হয়েছে নতুন রাজ্যপাল। পাশাপাশি আরও তিনটি রাজ্যের রাজ্যপাল বদল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিকিম, অসম, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে রাজ্যপাল পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া তেলেঙ্গানা, মেঘালয় ও চন্ডিগড়েও প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্র শাসিত পন্ডিচেরিতে নিয়োগ করা হয়েছে নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সিকিমে নিযুক্ত নতুন রাজ্যপালই মণিপুরের রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন। শনিবার রাতেই রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল নীতি আয়োগের বৈঠক। সেই বৈঠকের পর রাতারাতি ৯টি রাজ্যের রাজ্যপাল বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিনের এই বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদলগুলির দখলে থাকা সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যোগ না দিলেও এনডিএ শাসিত অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যোগ দেন। তবে মোদির ডাকা এই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন জোটসঙ্গী ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিরোধীদের তরফে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁকে বৈঠকে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই বৈঠকের পরপরই ওই রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে ৯টি রাজ্যের রাজ্যপাল পরিবর্তন করা হয়। রাতেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানানো হয়।

এদিন রাষ্ট্রপতি ভবন জানিয়েছে, পাহাড়ি রাজ্য সিকিমে রাজ্যপালের দায়িত্বে থাকা লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্যকে অসমের রাজ্যপাল হিসেবে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে মণিপুরের রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলাতে হবে। এর আগে মণিপুরের রাজ্যপাল ছিলেন অনুসুইয়া উইকে। আর লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্যকে বদলির ফলে শূণ্য হয়ে যাওয়া সিকিমে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করা হয়েছে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ মাথুরকে।

এদিকে সম্প্রতি পাঞ্জাবের রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়েছেন বনওয়ারিলাল পুরোহিত। পাঞ্জাবের সেই শূণ্যস্থানে বসানো হয়েছে অসমের রাজ্যপাল গুলবচাঁদ কাটারিয়াকে। সেই সঙ্গে তাঁকে চন্ডিগড়ের প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলাতে হবে। একইভাবে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল রমেশ বৈসকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই শূণ্যস্থানে তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণকে রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এখন তেলেঙ্গানার প্রশাসকের দায়িত্বে এলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুদেব বর্মা।

এছাড়া ঝাড়খণ্ডের নতুন রাজ্যপাল হলেন সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল রেমন ডেকা। কর্ণাটকের প্রাক্তন সাংসদ সিএইচ বিজয়শংকরকে মেঘালয়ের প্রশাসক করা হয়েছে। এতদিন রাজস্থানের রাজ্যপালের দায়িত্বে ছিলেন কলরাজ মিশ্র। সেখানে মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা হরিভাউ কিষাণরাও বাগদেকে মরুরাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। আবার তামিলনাড়ু সংলগ্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পন্ডিচেরী বা পুদুচেরির লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর করা হয়েছে মোদি ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আইএএস কে কৈলাসনাথকে।

৯টি রাজ্যের রাজ্যপাল বদলের পর রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এবার কি তাহলে বাংলাতেও রাজ্যপাল বদল হতে পারে। কারণ, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন শাসক দল থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রীরাও। তাঁর ভাবমূর্তি এখন তলানিতে। এরকম অবস্থায় রাষ্ট্রপতি ভবন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের মানুষ।