বহরমপুর শহরে অধীরের পায়ে হেঁটে ভোটপ্রচার

বস্তি এলাকায় সরকারিভাবে জল না পাওয়ার অভিযোগ মানুষের

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর, ১০ এপ্রিল— বুধবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী পায়ে হেঁটে ভোট প্রচারে বের হন৷ এদিন তিনি বহরমপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চুরাশি পাড়ার কেদার মাহাতো লেন সহ একাধিক এলাকায় জনসংযোগ করেন৷ সঙ্গে ছিলেন বহরমপুর টাউন কংগ্রেস সভাপতি অরিন্দম দাস, ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যথাক্রমে হীরু হালদার, কানাই রায়, কণিকা কুণ্ডু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী প্রমুখ৷ কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সিপিএমের কর্মীরাও এদিন দলীয় পতাকা নিয়ে অধীরবাবুর সঙ্গে পদযাত্রায় সামিল হন৷

অধীরবাবু কেদার মাহাতো লেনে ঢুকতেই মহিলারা অভিযোগ করেন, বহরমপুর পুরসভা থেকে তাদের এলাকায় জলের ব্যবস্থা করে দেয়নি৷ এলাকায় পর্যাপ্ত আলো নেই৷ রাস্তা ভেঙে গেলেও দীর্ঘদিন সারাই করা হয় না৷ মহিলাদের কাছে অভিযোগ শুনেই অধীরবাবু সঙ্গে সঙ্গে এলাকার কাউন্সিলর হারু হালদারকে বিষয়টির সত্যতা জানতে চান৷ কাউন্সিলর জানান, বহরমপুর পুরসভার ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যেহেতু কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, তাই প্রতিহিংসামূলকভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় পুরসভা থেকে কোনও কাজ করতে চাইছে না৷ সরকারি ভাবে বিনামূল্যে জলের লাইসেন্স দেওয়া হলেও, এই তিনটি ওয়ার্ডে সেটিও দেওয়া হচ্ছে না৷ লিখিতভাবে জানানোর পরেও কেদার মাহাতো লেনে জলের ব্যবস্থা পুরসভা থেকে করে দেয়নি বলে তিনি অধীরবাবুকে জানান৷ সব শুনে অধীরবাবু মানুষকে আশ্বাস দেন, যে করেই হোক তিনি এই এলাকার মানুষের জন্য জলের ব্যবস্থা করবেন৷


প্রসঙ্গত, বহরমপুর পুরসভা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে৷ পদযাত্রা চলাকালীনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অধীর চৌধুরী৷ মহিলাদের জলকষ্টের অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে, অধীরবাবু বলেন, ‘আমি যে এলাকা দিয়ে এলাম সেটি অতি সাধারণ মানুষের এলাকা৷ সেটি একটি বস্তি এলাকা৷ কোন পাপ তারা করেছেন জানি না, এই গরমে প্রখর রোদের তাপে যখন আমরা সবাই ঝলসে যাচ্ছি, তখন সেখানকার মা-বোনেরা বলছে, আমরা জল পাই না৷ এটা কোন ধরনের নৃশংসতা আমার অবাক লাগছে৷ আমি তাদেরকে বলেছি, আমি কর্তৃপক্ষকে বলবো৷ কারণ জল দেওয়ার ব্যবস্থা করাটা এটা কোনও দয়া দাক্ষিণ্য নয়৷ এটা মানুষের অধিকার৷ প্রাণ ধারণের মৌলিক উপাদান হচ্ছে জল৷ সেই জল যদি মানুষ না পায়, আর প্রশাসন যদি এখানে চুপ করে থাকে, আমি আজ বা কাল হাইকোর্টে যেতে বাধ্য হবো৷ প্রশাসনকে বলবো, আন্দোলন করছি, কোর্টেও যাব৷ এই এলাকার মানুষের পানীয় জল পাওয়ার মৌলিক অধিকারকে আমরা সুরক্ষিত করবোই৷’