• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে অধীরের চিঠি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাম্প্রতিক সময়ে লোকসভা ভোটে হারের পর দুমাসও কাটেনি। ফের রাজ্য সরকারের প্রবল সমালোচনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । তাঁর অভিযোগ, বাংলায় অরাজকতা চলছে। কৃত্রিমভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ করা উচিত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির লেটারহেডে লেখা ওই চিঠিতে অধীর রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি উদ্বিগ্ন। খানিকটা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাম্প্রতিক সময়ে লোকসভা ভোটে হারের পর দুমাসও কাটেনি। ফের রাজ্য সরকারের প্রবল সমালোচনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । তাঁর অভিযোগ, বাংলায় অরাজকতা চলছে। কৃত্রিমভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ করা উচিত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির লেটারহেডে লেখা ওই চিঠিতে অধীর রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি উদ্বিগ্ন। খানিকটা বিজেপি নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে অধীরের বক্তব্য, “দেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে বাংলার আইনশৃঙ্খলার হাল ফেরাতে হস্তক্ষেপ করা উচিত রাষ্ট্রপতির। এই মুহূর্তে বাংলায় যে অরাজকতা চলছে, সেটা যে শুধু বিব্রতকর তাই নয়, ভীষণভাবে উদ্বেগেরও। সবটাই হচ্ছে বিরোধী দলের সমর্থক এবং নেতাকর্মীদের উপর শাসকদলের নিষ্ঠুর আচরণে।”

রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে সন্দেশখালি প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো হয়েছিল।” বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের কড়া ব্যবস্থা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটের আগে আগে রোখা যায়নি শাসকদলের সন্ত্রাস।

তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে উদ্বেগের হল ভোট পরবর্তী হিংসা। অধীরের দাবি, বাংলার বিরোধী দলের নেতা কর্মী এবং সমর্থকরা জীবন এবং জীবিকা দুই নিয়েই সংশয়ে। এ প্রসঙ্গে ময়নাগুড়িতে কংগ্রেস কর্মী খুনেরও উল্লেখ করেছেন তিনি। অধীরের দাবি, এই মুহূর্তে রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। যা মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। লোকসভা ভোটের আগেও এই একইভাবে খানিকটা বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছিলেন অধীর। সে সময় দলের অন্দরেই ভর্ৎসিত হতে হয় তাঁকে। তৃণমূলও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করে। রাজ্যের শাসকদল দাবি করে, অধীর বিজেপির ভাষায় কথা বলছেন। কিন্তু তাতেও দমছেন না অধীর। কার্যত সেই একই ভাষাতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন অধীর।