• facebook
  • twitter
Friday, 20 September, 2024

বহরমপুরের সাতটি বুথে ফের ভোট চাইলেন অধীর

গণনায় কারচুপির আশঙ্কা কুশলকুমার বাগচী, বহরমপুর, ১৪ মে – চব্বিশ ঘন্টা আগেই পেরিয়েছে চতুর্থ দফায় মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রের ভোট৷ হাই ভোল্টেজ এই কেন্দ্রটি ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস এবং অধীর চৌধুরী৷ সোমবার ভোটের দিন তিনি বহরমপুর শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের বুথে ঘুরেছেন৷ খোঁজ নিয়েছেন ভোটের৷ মনোবল বাডি়য়েছেন কংগ্রেস কর্মীদের৷ এরই মাঝে তাঁর কাছে আসে ভরতপুর

গণনায় কারচুপির আশঙ্কা

কুশলকুমার বাগচী, বহরমপুর, ১৪ মে – চব্বিশ ঘন্টা আগেই পেরিয়েছে চতুর্থ দফায় মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রের ভোট৷ হাই ভোল্টেজ এই কেন্দ্রটি ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস এবং অধীর চৌধুরী৷ সোমবার ভোটের দিন তিনি বহরমপুর শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের বুথে ঘুরেছেন৷ খোঁজ নিয়েছেন ভোটের৷ মনোবল বাডি়য়েছেন কংগ্রেস কর্মীদের৷ এরই মাঝে তাঁর কাছে আসে ভরতপুর ২ ব্লকের সালারে কয়েকটি বুথে তৃণমূল কর্মীদের ছাপ্পা মারার খবর৷ এ নিয়ে তিনি ভোটের দিনই অভিযোগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনে৷ এবার সেখানকার ৬-৭টি বুথে পুনরায় ভোটের আবেদন করতে চলেছেন তিনি৷ মঙ্গলবার জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করেন তিনি৷ এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “স্ক্রুটিনিতে ৬-৭টা বুথে আমরা রি পোল চাইব৷ সালারে৷” গণনায় কারচুপি করার আশঙ্কার কথাও এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান৷ এদিন সকাল থেকে অধীর চৌধুরী এবং নরেন্দ্র মোদির ছবি পাশাপাশি জুডে় এবং উপরে একটি দৈনিক সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ করে স্যেসাল মাধ্যমে প্রচার করা হয়, বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী পরাজিত হচ্ছেন এবং নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করে রাজ্যসভার সাংসদ করবেন বলে জানিয়েছেন৷ এ নিয়ে সাংবাদিকরা আজ প্রশ্ন করলে, উত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন, “জানি না কোন স্যোসাল মিডিয়া কি বলছে, না বলছে৷ হঠাৎ করে আমাকে রাজ্য সভার সাংসদ করার ইচ্ছে মোদির কেন হবে, আমার জানা নেই৷ ধরুন আমি হারব, কিন্ত্ত হারার সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ হতে যাব কেন হঠাৎ করে, সেটা আমার জানা নেই৷ এমন না হয় আগামীতে মোদিকেই রাজ্যসভার সাংসদ হতে হয়৷ তাও হতে পারে৷ এগুলো বলার পিছনে কারণ হচ্ছে, গণনায় একটা কারচুপি করার চেষ্টা করবে৷ যাতে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে যারা নিয়োগ হবে আগামী দিনে, তারা যেন আগে থেকেই ভগ্ন মানসিকতা নিয়ে যায়, যে আমরা তো হারছি, কাউন্টিং করে আর কি হবে৷ এটা আরেকটা সাইকোলজিক্যাল গেম চলছে৷ যাতে দুর্বলভাবে আমরা কাউন্টিংটা শুরু করি৷ কাউন্টিং-এ হেরাফেরি হয়৷ সেটায় আমাদের নজরটা যাতে কম থাকে, তার জন্য এটা চেষ্টা হচ্ছে৷ আমাকে কেউ যদি বলে এটা অথেনটিক, দরকার হলে তার বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে সাইবার ক্রাইমে আমি কেস করব৷ জানি না এসব সমাজ মিডিয়ার গাঁজাখুরি গল্পের কথা৷” গতকাল ভোট মেটার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুর কেন্দ্রের বিধায়ক সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে মেরুকরণের ভোট হয়েছে৷ এই নিয়েও সাংবাদিকরা আজকে অধীর চৌধুরীকে প্রশ্ন করেন৷ উত্তরে তিনি বলেন, “তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ই চেষ্টা করেছিল মেরুকরণের৷ কোথাও মেরুকরণ হয়নি৷ তৃণমূল এবং বিজেপি মিলেমিশে চেষ্টা করেছিল৷ শক্তিপুরের দাঙ্গাটা মিলিত দাঙ্গা৷ তৃণমূল দলের বিধায়ক যদি এই ধরনের মন্তব্য করে, যে মুসলমান সত্তর, হিন্দু ত্রিশ, ভাসিয়ে দেবো, হেন করবো, তেন করবো৷ প্রথমত এটা সমচিত নয়৷ দ্বিতীয়ত, সেটা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কোনো মাথা ব্যথা নেই৷