কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দিহান অধীরও

নিজস্ব প্রতিনিধি— কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে একেবারেই আপত্তি করলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী৷ সোমবার অধীর জানিয়ে দিলেন, কার্তিক মহারাজের ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে মূল্যায়ন তার সঙ্গে তাঁর মতের ফারাক নেই৷ কার্তিক মহারাজের কর্মকাণ্ড মুর্শিদাবাদ জেলা তথা বহরমপুরেই বেশি৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হয়, কার্তিক মহারাজ মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন৷ চার দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন৷ কী বলবেন? উত্তরে অধীর বলেন, ‘সে যাঁর যা ইচ্ছা করতেই পারেন৷ তবে যাঁর কথা বলছেন, তিনি এখানে সেভাবেই পরিচিত৷ তাঁর চরিত্র মোটেই সাধুসন্ত সুলভ নয়৷’ আরও বলেন, ‘তাঁর পরিচিতি নিয়ে এখানে বহু মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে৷ সে সরাসরি রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে এলাকার মানুষের কাছে পরিগণিত হয়৷’

প্রসঙ্গত, শনিবার আরামবাগের গোঘাটের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সব সজ্জন সমান হয় না৷ সব সাধুও নয়৷ আমাদের মধ্যেই কি সবাই সমান আছেন? আমি আইডেনটিফাই করেছি বলেই বলছি৷’ কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ্য করে সেই সভামঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ভারত সেবাশ্রম সংঘকে অনেক সম্মান করতাম৷ কিন্ত্ত যে লোকটা তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেন না তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না৷’ ঘটনার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কার্তিক৷ প্রথমে তিনি মমতার উদ্দেশে বলেন, ‘ওঁর চৈতন্য হোক’৷ তার পর এও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন৷ পাল্টা আমিও চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি৷ আমার সঙ্গে কোনও ডন নেই, গুন্ডাও নেই৷ আমি যদি কোনও বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে না দিয়ে থাকি তাহলে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন? আমি একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, আইনজীবীদের জানিয়েছি, আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷’ সোমবার জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন কার্তিক মহারাজ৷ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ দেশের সেবা করে৷ গোটা পৃথিবী জুডে় তাদের সংগঠন রয়েছে৷ তার মধ্যে কি বিচু্যতি নেই৷ অবশ্যই আছে৷ আমরা বক্তব্য একটাই, যাঁরা সাধু বা সন্ত তাঁদের কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে যাওয়া উচিত নয়৷ তাতে সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে৷’