বারংবার নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি ভাঙলেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি— ফের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে এবার তৃণমূলের অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ওঁনার দল বিজেপি৷ মঙ্গলের সকালে রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ ও সাকেত গোখলে নির্বাচন সদনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করেন এবং ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা৷ তৃণমূলের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শুধু তাই নয়, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ বারংবার মোদিকে নিয়ে অভিযোগ করার পরেও কেন নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল৷ ভোটের মধ্যেই আর্থিক প্রকল্পের ঘোষণা করছেন নরেন্দ্র মোদী, যা তিনি করতে পারেন না বলে দাবি করেছেন সাগরিকা সহ তৃণমূল৷ এই নিয়ে তিনটি চিঠি নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলেও এ বিষয়ে আমল দেয়নি কমিশন, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের৷

নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও এক আর্জি জানানো হয়েছিল৷ তবে সেটি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোটে প্রার্থী হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত, এমন দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এক মহিলা৷ তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রী ধর্মের নামে ভোট চাইছেন৷ হিন্দু দেব-দেবীর নামে মানুষকে ভোট দিতে বলছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির বিরোধী৷ যদিও এ বিষয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও৷ মামলাকারী ভুল জায়গায় এসেছেন, দাবি সুপ্রিম কোর্টের৷ এজন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হবে৷ আর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন৷


কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে সাগরিকা জানান, ‘নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ভোট প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ করা হয়েছে৷ কিন্ত্ত কমিশন ওঁনার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ বারবার ধর্ম নিয়ে কথা বলছে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদি৷ মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন৷ এমন শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে যা এমসিসি-তে নিষেধ৷ সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ করার চেষ্টা করছে বিজেপি৷’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ, ২৮ মার্চ এবং ৪ মে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ তারপরেও কমিশন মোদির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ অথচ প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি লাগাতার নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে চলেছে, এই অভিযোগ তুলেই এবার নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানালো দল৷