নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেস কর্মীকে গাছে বেঁধে মারধর করে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মানিক রায়। তিনি ময়নাগুড়ি কলোনির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুরনো বিবাদের জেরে ওই কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত ৫। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মানিককে এলাকার বেশ কয়েকজন তুলে নিয়ে যান। বাবাকে কেউ নিয়ে যাচ্ছে দেখে, পিছু নেয় মানিকের নাবালক ছেলে। সেই দেখে তার বাবাকে গাছে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। তারপর সেখান থেকে নদী পেরিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট দৌড়ে থানায় যায় স্কুল ছাত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মানিককে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে নারী নির্যাতনের মামলা নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। সে সময়ে তাঁর বাড়িও ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। তখন চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে পাঁচ বছর ঘরছাড়া ছিলেন মানিক। পাঁচ বছর শিলিগুড়িতে ছিলেন , সে সময় থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। আলাপ আলোচনায় সমঝোতায় এসে সপ্তাহ খানেক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর থেকে মানিককে আবারও শাসানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাঁকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তারই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল বুধবার। অভিযোগ, ৩২ জন মিলে ওই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে ঢোকে। তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গাছে বেঁধে পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ।
নিহতের স্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের লোকেরা ওর নামে নারী নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। পাঁচ বছর আমরা বাড়ি থেকে শিলিগুড়িতে ছিলাম। রবিবার বাড়িতে ফিরে আসি। এরপর বাপ্পা রায়, অমল দাস ওরা আবার এল আমাদের বাড়িতে। ওরা এসে বলে তোকে আজ ডিজেল দিয়ে পোড়াব, গাছে বেঁধে মারে। অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপাল।”
এবিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এটা একেবারেই পাড়াগত গ্রাম্য বিবাদ। তবে যারাই করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দিন থেকেই বলেছেন, কোনও ভাবে গুন্ডারাজ বরদাস্ত করা হবে না। যারা করেছে, তাদের জায়গা জেলের পিছনেই থাকবে।”