ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে বিজেপিকে তোপ অভিষেকের, ধর্ষণ বিরোধী আইনের পক্ষে সওয়াল

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক জানান, বিজেপি যেন প্রতি ২৮ আগস্ট একটি করে বনধ ডাকে। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সাল থেকেই কর্মনাশা, সর্বনাশা বনধের বিরুদ্ধে। এই বনধের দিনেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাংলার মানুষ পথে নেমে আজকের এই সমাবেশে ঢল নামিয়েছে। আজকের ২৮ আগস্টের সমাবেশ আগের সব ২৮ আগস্টের সমাবেশের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিজেপি লাশের নোংরা রাজনীতিতে লিপ্ত। বাংলার মানুষ জানে বিজেপির আসল রূপ কী। অভিষেক বলেন, ‘যারা সন্দেশখালি ক’রে মহিলাদের মান-সম্মান-সম্ভ্রম দু’হাজার টাকার বিনিময়ে দিল্লির বুকে বিক্রি করেছেন, তাঁদের নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। যাদের আমলে হাথরাস, কাঠুয়া, বদলাপুর, উন্নাও হয়েছে, সেই নারী বিরোধী বিজেপির কাছে বাংলার মানুষকে রাজনীতি করা শিখতে হবে না।’

আরজিকর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার বিজেপি-কে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও অন্যায়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি কোনও রাজ্যে যদি ঘটে থাকে, এনসিআরবি অনুযায়ী প্রথমেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয় মধ্যপ্রদেশ, তৃতীয় রাজস্থান, চতুর্থ মহারাষ্ট্র।’ তাঁর বক্তব্য, সুকান্ত মজুমদার সহ বাকিরা যেন যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন।


সিবিআই-এর ট্র্যাক রেকর্ডকেও দুষলেন অভিষেক। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা, যেমন সারদাকাণ্ড, রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ইত্যাদির সুরাহা কেন করতে পারেনি সিবিআই? প্রশ্ন তাঁর। সন্দীপ ঘোষকেই বা কেন গ্রেফতার করা হয়নি, জানতে চান তিনি।

ধর্ষণ বিরোধী আইনের পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। জানান, কেন্দ্র এই বিল না আনলে তিনি সংবিধান মোতাবেক ব্যক্তিগত সদস্যের বিল আনবেন এই বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য। আর যদি আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেও এই আইন প্রণয়ন না হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলন গড়বে দিল্লিতে। তাঁর বক্তব্য, ‘ওরা বলছে দাবি এক, দফা এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। আমি বলছি, দাবি এক, দফা এক— ধর্ষণ বিরোধী আইন।’

বিজেপি-র মহিলা সংরক্ষণ বিলকে কটাক্ষ করে তিনি জানান, আগামী দিনে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৫৫ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে।