‘নীরবতা’ ভেঙে ফের আর জি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার বুকে এক সরকারি হাসপাতালে তরুণী–চিকিৎসক খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ আগস্ট রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই রাতেই কয়েকজন দুষ্কৃতী আর জি করে ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার পরই প্রথম আর জি কর ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন অভিষেক। এরপর রাজ্য সহ দেশ জুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়লেও তৃণমূলের সেনাপতিকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। ওই দিনের পর বৃহস্পতিবার সকালে ফের আর জি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে অভিষেক ভারতকে জেগে ওঠার বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের জন্য সব রাজ্যের সরকারকে কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেক লেখেন, ‘গত ১০ দিন ধরে গোটা দেশে আর জি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ হচ্ছে, মানুষ সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন। এই ১০ দিনে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।’ অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় চারটি এবং প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই ঘৃণ্য অপরাধের কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এখনও করা যায়নি।’
এদিন তিনি আরও লেখেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগের এই পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, এই মুহূর্তে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন কতটা জরুরি। অপরাধের ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষককে চিহ্নিত করে তাঁর কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়া চলবে না। ‘ ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের জন্য তিনি সমস্ত রাজ্যের সরকারকে কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ১৪ আগস্ট রাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার পর দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছিলেন অভিষেক।দোষীরা কোন দলের কর্মী সমর্থক তা না দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিবাদী চিকিৎসকদের দাবিকে যথার্থ বলে দাবি তাঁর। চিকিৎসকরা নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে দাবি তুলেছেন তা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন তিনি।