• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

‘পথ দেখাচ্ছে বাংলা’,  ধর্ষণ-বিরোধী কঠোর কেন্দ্রীয় আইন নিয়ে ফের সওয়াল অভিষেকের

ধর্ষণ-বিরোধী আইন নিয়ে শুধু সমাজমাধ্যমে নয়, ২৮ অগস্ট মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকেও একই দাবি জানিয়ে ছিলেন যুবরাজ। সেই সভা থেকে অভিষেক বলেছিলেন, ধর্ষণ-বিরোধী কঠোর আইনের দাবিতে আন্দোলন তৃণমূল দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যাবে।

গত ২২ অগস্ট থেকে নিজের দাবিতে অনড় রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ৫০ দিনের মধ্যে বিচার হবে, এমন ধর্ষণ-বিরোধী কঠোর আইন আনার পক্ষে বারবার সওয়াল করে চলেছেন অভিষেক। মঙ্গলবার দুপুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ফের এ প্রসঙ্গে জোরালো দাবি করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। ‘৫০ দিনের মধ্যে বিচার করে দোষীর শাস্তি হোক’, ধর্ষণ-বিরোধী কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ করার দাবি জানিয়ে এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রসঙ্গও টানেন অভিষেক। ধর্ষণ-বিরোধী আইন প্রণয়নে ‘বাংলা পথ দেখাচ্ছে’, স্পষ্ট দাবি অভিষেকের। কিন্তু কেন এমন মন্তব্য তৃণমূল সেনাপতির? ঘটনাচক্রে, অভিষেক যখন এ কথা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, মঙ্গলের সে সময়ই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনার বিশেষ অধিবেশনে ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’ নামক বিলটি পেশ করা হয়। সেই বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলে ধর্ষণের সাজা হবে জরিমানা সহ যাবজ্জীবন কারাবাস, নয়তো মৃত্যু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কর্তৃক বিধানসভায় ধর্ষণ-বিরোধী আইনের প্রস্তাব পেশ করার বিষয়টিকেই মাইলফলক হিসেবে প্রদর্শন করেছেন অভিষেক।

এদিন তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর ধর্ষণের মতো নারকীয় ঘটনা ঘটছে। এই পরিসংখ্যানই সময় বেঁধে ধর্ষণ-বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবি আরও জোরদার করছে।’ তিনি আরও জানান, ধর্ষণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবশ্যই কঠোর এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘সংসদে আসন্ন অধিবেশনে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা আইন সংশোধনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার দ্রুত করতে হবে।’ এরপরই তিনি পোস্টের শেষে লিখেছেন, ‘বাংলা পথ দেখাচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পরই অভিষেক ধর্ষকদের এনকাউন্টার করার নিদান শুনিয়েছিলেন। এরপর সমাজমাধ্যমে গত ২২ অগস্ট অভিষেক লিখেছিলেন, ‘এমন কঠোর ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনতে হবে, যা ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা নিশ্চিত করবে এবং তাতে দোষীকে কঠোরতম সাজা দেওয়ার নিদান থাকবে।’ তাঁর এই পোস্ট সমাজমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।

তবে ধর্ষণ-বিরোধী আইন নিয়ে শুধু সমাজমাধ্যমে নয়, ২৮ অগস্ট মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকেও একই দাবি জানিয়ে ছিলেন অভিষেক। সেই সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, ধর্ষণ-বিরোধী কঠোর আইনের দাবিতে আন্দোলন তৃণমূল দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যাবে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘ওঁরা বলছেন দাবি এক, দফা এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। আমি বলছি, দাবি এক, দফা এক— ধর্ষণ বিরোধী আইন। আগামী দিনে তৃণমূল দিল্লিতে যাবে যাতে কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ষণ বিরোধী আইন আনে। রাতারাতি নোট বাতিল হতে পারে, লকডাউন করতে পারে, তা হলে ধর্ষণ-বিরোধী আইন আসে না কেন? যাঁরা এই নারকীয় বর্বর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সমাজে থাকার অধিকার নেই।’  মঙ্গলবার সেই একই কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিলেন অভিষেক।