অবশেষে জোটের জট কাটার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল। বামেদের মধ্যস্থতায় আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ-কে আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে কংগ্রেস। তারপরই জোটের রফা চূড়ান্ত বলে দাবি করেছে বাম কংগ্রেস দুই পক্ষই। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতে জোটে সিলমােহর পড়বে বলেও জানিয়েছেন সেলিম-মান্নানরা।
ইতিবাচক সুর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকির গলাতেও। জানা গিয়েছে, আব্বাসের দলকে আটটি আসন ছাড়তে চলেছে কংগ্রেস। এরমধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের ছ’টি এবং দক্ষিণবঙ্গের দু’টি আসন। জোটের জট কাটাতে এদিন সকালে আলিমুদ্দিনে শুরু হয় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক।
অধীর চৌধুরী অনুপস্থিত থাকলেও কংগ্রেসের তরফে ছিলেন বিরােধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য। বামেদের পক্ষে আলােচনা শুরু করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিআই (এম)-এর পলিটব্যুরাে সদস্য মহম্মদ সেলিম।
সুত্রের খবর, নওসাদ সিদ্দিকির উপস্থিতিতেই আটটি আসন নিয়ে আলােচনা শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের ছ’টি এবং দক্ষিণবঙ্গের দু’টি আসন। এদিন বৈঠক শেষে নওসাদ বলেন, মধ্যমগ্রাম এবং মুরারই আসন দু’টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে।
যদিও সূত্রের খবর সবকটি আসনই আব্বাসের দলকে ছাড়তে রাজি হয়ে গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। হাইকমান্ডের থেকে সবুজ সংকেত মিলছে বলেও খবর। জোট নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেন আবদুল মান্নানও। তিনি বলেন, দু-একটি আসন বাকি রয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় তা সমাধান হয়ে যাবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘বামেদের সঙ্গে কিছু আসন অদলবদল করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কিছু কম বেশি হতে পারে। সংযুক্ত মাের্চার জোট ১০০ শতাংশ চুড়ান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সিপিআই ( এম ) নেতা মহম্মদ সেলিম। তবে বাম শরিকদের মধ্যে আব্বাসকে নিয়ে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, হাওড়ার পাঁচলা এবং উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা আসন দু’টি আইএসএফ-কে ছাড়তে রাজি নয় ফরওয়ার্ড ব্লক। এই পরিস্থিতিতে শরিকি আপত্তি নিরসনে ফের বৈঠকে বসেছে ফ্রন্ট নেতৃত্ব।