দিল্লি, ৭ এপ্রিল: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ জানিয়ে আজ রবিবার সারাদিনব্যাপী অনশন ধর্মঘটে সামিল হল আপ নেতা ও কর্মীরা। সিনিয়র আপ নেতৃত্ব, মন্ত্রী, বিধায়ক, কাউন্সিলর, দলের কর্মী ও সমর্থকরা রাজধানীর জন্তর মন্তরে এই প্রতিবাদী কর্মসূচিতে সামিল হন। ‘সামূহিক উপবাস’ নামে এই কর্মসূচির একটাই উদ্দেশ্য, দলের জাতীয় আহবায়ক ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানানো। দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রাম নিশ্বাস গোয়েলও এই সামূহিক উপবাসে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নাম না করে এদিন কেন্দ্রের শাসক দলকে ইঙ্গিত করে বলেন,’সারা দেশ ও গোটা বিশ্বের গণতন্ত্রের সমর্থনকারীরা এই অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। যারা বিধায়ক কিনে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, এটা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আমরা ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করবই। তারা আপ দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু, আজ আমাদের শক্তি প্রমাণিত হয়ে গেল।’
এদিকে দিল্লির আপ মন্ত্রীসভার অন্যতম সদস্য অতিশী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আবগারি দুর্নীতিতে মদ ব্যবসায়ী সরথ রেড্ডির টাকা বিজেপির কাছে পাওয়া যেতে পারে। শরথ রেড্ডি বিজেপিকে ৫৫ কোটি টাকা দিয়েছিল। তাহলে কেন সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে না? কেন বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তারের নোটিস পাঠানো হচ্ছে না। আসলে ইডি, সিবিআই-কে বিজেপি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। কিন্তু মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভালোবাসে। তাঁরা কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখেন না। বরং নিজের ছেলে অথবা ভাই হিসেবে মনে করেন। তাঁরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন চান। আবগারি দুর্নীতিতে বিজেপির ইডি, সিবিআই আপ নেতার কাছ থেকে একটি পাই পয়সাও দেখাতে পারেনি। যদি এই কেলেঙ্কারি থেকে কোনও টাকা পাওয়া যায়, তা একমাত্র বিজেপির মদ ব্যবসায়ী শরথ রেড্ডির কাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত আজ রবিবার দিল্লির জন্তর মন্তরের পাশাপাশি সারাদেশের আম আদমি পার্টির নেতা কর্মীরা এই সামূহিক অনশনে সামিল হন। যথারীতি বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। আপের মধ্যমগ্রাম বিধানসভার ভারপ্রাপ্ত নেতা ও স্বাস্থ্যকর্মী অভিজিত বড়ুয়া বলেন, ‘সারাদেশ ও গোটা বিশ্বের মতো আজ আমরা পশ্চিমবঙ্গেও এই সামূহিক অনশনে সামিল হয়েছি। কলকাতায় রানী রাসমণির মূর্তির পাদদেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা অবধি এই অনশনে সামিল হই। সেখানে রাজ্যের প্রায় শতাধিক নেতা কর্মী এই অনশনে অংশ নেন। তবে উত্তরবঙ্গ সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি দূরবর্তী জেলার নেতা কর্মীরা তাঁদের নিজের নিজের জেলাতেই এই অনশন কর্মসূচি পালন করেন।’