আরজিকর হাসপাতালে ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার মধ্যরাতে পথ জমায়েতের ডাক দিয়েছে নাগরিক সমাজ। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায়ও মধ্যরাতের কর্মসূচি নিয়েছে নাগরিক সমাজ। এহেন প্রেক্ষাপটে কলকাতা-সহ রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়, তা নিয়ে নবান্নে পদস্থ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করলেন ডিজি রাজীব কুমার। বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। এদিকে মেয়েদের মধ্যরাতের এই কর্মসূচিকে ঘিরে এদিন কলকাতা মেট্রোর তরফে অতিরিক্ত দুটি ট্রেন চালানোর কথা জানানো হয়েছে। এগুলো চলবে রাত ১০টা এবং ১০টা ২০ মিনিটে।
নবান্ন সূত্রে প্রকাশ, এদিনের বৈঠকে জেলার পুলিশ সুপার এবং বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেটের সিপি-দের উদ্দেশে ডিজি বলেন, ‘আজকে রাতে মেয়েদের কর্মসূচি রয়েছে। ওই কর্মসূচি যাতে সুষ্ঠভাবে পালিত হয় সেটা দেখতে হবে পুলিশকে। কোনও অবস্থাতেই মহিলাদের সুরক্ষা যেন বিঘ্নিত না হয়’। এ ব্যাপারে পুলিশকে সহনশীল থাকার বার্তাও দেন ডিজি।বৈঠকে কলকাতা পুলিশকেও প্রতিটি জায়গায় যথাযথভাবে নিরাপত্তা পালনের বিষয়ে সতর্ক করেন পুলিশ কমিশনার বিনীক গোয়েল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও পুলিশকে ধৈর্য্যশীল হতেও বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, কলকাতা এবং জেলায় জেলায় এদিন রাতের রাস্তা পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ থাকবে। উদ্দেশ্য একটাই, মহিলাদের কর্মসূচি ঘিরে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়। জেলা থেকে কলকাতা, সর্বত্রই বেশি সংখ্যক মহিলা পুলিশ মোতায়েন রাখা হচ্ছে। আরজিকরে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলিত সমাজ। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আন্দোলন জারি রেখেছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারাও। তাঁদের অভিযোগ, একার পক্ষে এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। ঘটনায় আরও একাধিকজন জড়িত থাকতে পারে। বস্তুত, প্রভাবশালী অপরাধীদের আড়াল করতে প্রকৃত সত্য চাপা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলনেতাও। এমন আবহে মধ্যরাতে মেয়ের পথ জমায়েত ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। সেদিকে খেয়াল রেখেই নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক করলেন ডিজি।ভাল কাজের জন্য সম্প্রতি তিন পুলিশ কর্তাকে পদক দেওয়া হয়েছিল। ওই তিন পুলিশ কর্তাকেও এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অভিনন্দন জানানো হয় বলে জানা গেছে ।