• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

বাংলাদেশের সাংসদ খুনের পিছনে জড়িত এক সুন্দরী  মহিলা গ্রেফতার

কলকাতা, ২৩ মে : বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের খুনে নতুন মোড়। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি এই তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই খুনের রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। রাজ্য গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছে, মৃত সাংসদের এক পুরনো বন্ধু এই হত্যার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে। সাংসদের অভিযুক্ত ওই বন্ধুর নাম আক্তারুজ্জামান। সে

কলকাতা, ২৩ মে : বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের খুনে নতুন মোড়। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি এই তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই খুনের রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। রাজ্য গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছে, মৃত সাংসদের এক পুরনো বন্ধু এই হত্যার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে। সাংসদের অভিযুক্ত ওই বন্ধুর নাম আক্তারুজ্জামান। সে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে এক সুন্দরী মহিলাকে। ওই মহিলার ফোন পেয়েই বরানগরের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি ছেড়ে নিউটাউনের ওই আবাসনে যান ঝিনাইদহের সাংসদ। সেখানে গিয়েই শত্রুপক্ষের ফাঁদে পড়ে যান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এই হত্যাকাণ্ডের আরও তথ্য পেতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে রাজ্য গোয়েন্দারা।

এদিকে সিআইডি-র তদন্তে জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্রের মূল পান্ডা আকতারুজামান কয়েকজন পেশাদার খুনিকে ব্যবহার করে। এজন্য সে পাঁচ কোটি টাকা সুপারি দেয় সৈয়দ আমানুল্লা ওরফে শাহীনকে। প্রসঙ্গত শাহীন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়েছে। সিআইডি জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের বাসিন্দা আকতারুজ্জামানের আমেরিকার নাগরিকত্ব রয়েছে। কলকাতার ফ্ল্যাটটি আমেরিকার নাগরিকত্ব দেখিয়ে ভাড়া নেওয়া। বাংলাদেশের সাংসদকে খুনের ঘটনায় যেসব দুষ্কৃতীরা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল, তারা কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকায় একটি হোটেলে একদিন ছিল বলে তদন্তে জানা গিয়েছে।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল বরানগর থেকে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে আসার ২০ মিনিটের মধ্যে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে প্রথমে ফ্রিজে রাখে, যাতে দেহাংশগুলিতে পচন না ধরে। খুনের পর আবাসনের ফ্ল্যাটটি ভালো করে ধুয়ে ফেলা হয়। তা সত্ত্বেও ফ্ল্যাটের মধ্যে থেকে পুলিশ রক্তদাগ পেয়েছে। এরপর দেহগুলি ট্রলিতে ভরে আবাসনের বাইরে এনে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে খুনিরা। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এমনই অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, খুনের পর দেহাংশ লোপাটের জন্য স্থানীয় কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, কমপক্ষে এক মাস আগে ঝিনাইদহ-৪ খুনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শুরু হয়। এতে জড়িত অন্তত তিনজন ঘটনার ১৩ দিন আগে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসে। তারও আগে যায় দুই জন। মূলত আনোয়ারুলকে হত্যার জন্যই নিউটাউনের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয় দুষ্কৃতীরা। যদিও পুলিশ এখনও বাংলাদেশের সাংসদের দেহের প্রধান অংশ উদ্ধার করতে পারেনি। ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে।