নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিজেপির পরিষদীয় দল। মঙ্গলবার বিধানসভার সচিবের কাছে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন।গেরুয়া শিবিরের বিধায়কদের দাবি, ‘ রাজ্য বিধানসভায় বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনার জন্য বিজেপি দাবি জানালেও তা মানা হয় না। সরকারের প্রস্তাবের বিষয়গুলিকেই আলোচনার জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়’। স্পিকার বিরোধীদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেন না বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
এদিন বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে স্লোগান দেন তিনি। এরপর তাঁর নেতৃত্বে ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক মিছিল করে সচিবের ঘরে যান। বিজেপি বিধায়কের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভার সচিবের কাছে জমা পড়ে।নীতি আয়োগের বৈঠক ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে গত সোমবারও বিধানসভার ভিতরে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
তীব্র বাদানুবাদের মধ্যে বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করেন। বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিজেপি।স্পিকারের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীককে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে। কক্ষের বাইরে ও ভেতরে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে পরিস্থিতি সরগরম হয়েছে অতীতেও।
এমনকী বিধানসভা কক্ষে শুভেন্দু অধিকারী ও স্পিকারের মধ্যে বাদানুবাদের ছবিও সামনে এসেছে। অতীতেও স্পিকারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ‘স্পিকারের কাজ হচ্ছে বিধানসভা পরিচালনা করা। তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এই স্পিকার দলীয় দায়িত্ব পালন করছেন।’ বিরোধী দলনেতা আগে এও বলেছেন যে, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শে ফারাক থাকা সত্ত্বেও বলব অন্যান্য স্পিকাররা যেভাবে বিধানসভা পরিচালনা করেন, তা বর্তমান স্পিকারের ক্ষেত্রে দেখা যায় না।’ এই প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে শুভেন্দু টেনে এনেছিলেন হাসিম আবদুল হালিমের কথা। শুভেন্দুর কথায়, ‘অতীতে তিনি যেভাবে অধ্যক্ষ পদ সামলেছিলেন তার ধারেকাছে আসেন না এই স্পিকার।’