অসমের ২৭ লক্ষ মানুষ আধার কার্ড থেকে বঞ্চিত, সুর চড়ালেন সুস্মিতা

আরজি কর ইস্যুতে কিছুটা হলেও চাপে মমতা সরকার। আর তাই মোদি বিরোধিতায় একদম সামনের সারিতে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস আপাতত কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

আধার কার্ড ইস্যুতে অসমের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। বৃহস্পতিবার আধার কার্ড ইস্যুতে হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, অসমে কমপক্ষে ২৭ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড নেই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা।

তৃণমূল সাংসদ বলেন, আয়ুষ্মান ভারত-সহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ওই ২৭ লক্ষ মানুষ। আধার কার্ড না থাকায় পড়ুয়ারা স্কলারশিপ পাননি। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত জানায়, অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে এই ২৭ লক্ষ মানুষ তাদের আধার কার্ড পাবেন। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন না করায় সরকার ওই ব্যক্তিদের বায়োমেট্রিক লক খুলতে পারেনি


তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর দাবি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মিথ্যা প্রচার করছেন। সুস্মিতার বক্তব্য, এনআরসি ও আধার কার্ডের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী (হিমন্ত বিশ্বশর্মা) আধার ইস্যুতে মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁর সরকার আধার কার্ডের সঙ্গে এনআরসির সম্পর্ক নিয়ে আদালতকে নোট দিয়েছে।

সুস্মিতার যুক্তি, ভারতে ১৮০ দিনের বেশি বেঁচে থাকা যে কেউ আধার কার্ড পেতে পারেন। এর সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। আধার বিধিতে স্পষ্টভাবে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অসম সরকার ২৭ লক্ষ মানুষের বায়োমেট্রিক লক করে দিয়েছে। এর ফলে একটা বড় অংশের মানুষ প্রচুর সমস্যায় পড়ছেন।

এদিকে অসম সরকার ইতিমধ্যেই ৯ লক্ষ মানুষকে আধার কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান সুস্মিতা। একই সঙ্গে দাবি জানান, বাকি ১৮ লক্ষ মানুষকেও অবিলম্বে আধার কার্ড দেওয়া হোক।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধুনাপ্রয়াত সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ এই নেত্রী কংগ্রেসের টিকিটে শিলচরের বিধায়ক ও সাংসদ ছিলেন। তবে ২০২১ সালের ১৬ অগস্ট তৃণমূলে যোগ দেন। তার দেড় মাসের মধ্যে রাজ্যসভায় টিকিট পেয়েছিলেন সন্তোষ-কন্যা। জিতেও যান সুস্মিতা।