কন্যাকুমারী, ২৯ মে– কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আর ধানমগ্ন মোদিকে জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে ২ হাজার জওয়ান৷ মানে মোদিকে পাহারা দিতে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে ২ হাজার পুলিশকে৷ আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা মোদির ৪৫ ঘণ্টার ধ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই বহু বাকবিতন্ডবনা শুরু হয়েছে৷ সেই বিতর্কেই নব সংযোজন এই পুলিশ বাহিনীর সংখ্যা৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব তামিলনাড়ু কংগ্রেস৷ একে মোদির ‘ধ্যান-নৌটঙ্কি’ বলে কটাক্ষ করে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাতে চলেছে৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোট চলাকালীন মোদির দিকে প্রচারের ক্যামেরা থাকায় তা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে৷
এদিন বারুইপুরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শ্লেষ মিশিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘উনি ধ্যানে বসবেন৷ আর ধ্যানের ছবি তুলবেন ক্যামেরাম্যান দিয়ে৷ কেউ পুজো করলে ক্যামেরায় তুলে রাখতে হয়৷ এর আগেও কেদারনাথে ধ্যানের ছবি প্রচার করেছেন৷’ তিনি আরও বলেন, ‘উনি নাকি ঈশ্বরের দূত৷ তাহলে তো, লোকে ওনার ধ্যান করবে৷ ওনার ধ্যান করার দরকার কি?’
তৃণমূল সুপ্রিমোর সাফ জবাব, এবার যদি তিরিশ তারিখের ধ্যানের ছবি প্রচার করে টিভিতে দেখায় শেষ দফার নির্বাচন হবার আগেই, তাহলে তা নির্বাচনের আদর্শবিধি লঙ্ঘন করবে৷ তখন তো তা নিয়ে বলতেই হবে৷ কারণ এর আগে ২০১৯ নির্বাচনের প্রচার শেষে কেদারনাথের গুহায় ধ্যান করেছিলেন মোদি৷ আর তা নিয়ে ভোটের আগে বিজেপি বাড়তি সুবিধা পেয়েছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের৷
এদিন মমতা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘ভেবেছিলাম একবার কন্যাকুমারী ঘুরে আসব৷ কিন্ত্ত দেখলাম তার আগেই আরএসএস দখল করে বলে আছে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘সমুদ্রের মাঝে একটা সুন্দর জায়গা৷ মানুষ সেখানে যায়, ধ্যান করে৷ ওখানে উনি কেন ধ্যান করবেন?’