আমিনুর রহমান: সোমবার পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচন৷ তার ঠিক আগেই পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ ব্লকের শতবর্ষ পার করা আর এক প্রবীণ ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন৷ আর এই ভোটদানের মাধ্যমে একটা রেকর্ড সৃষ্টি হলো পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষেত্রে৷ কারণ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনের খন্ডঘোষ বিধানসভা এলাকায় ১০০ বছর পার করা দু-দুজন ভোটার এবার ভোট দিলেন৷ শনিবার এই লোকসভা আসনের জন্য ১০২ বছর বয়সের প্রবীণ চিকিৎসক সত্যনারায়ণ সাঁই বাডি়তে বসেই ভোট দিয়েছেন৷ আর এবার ওই বিধানসভা এলাকার উদয়কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা উজির আলির ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়৷ তার বয়স ১০১ বছর৷
শৈশবে উজির আলি খান ছিলেন পরাধীন ভারতের নাগরিক৷ দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন তিনি বয়সে একেবারেই তরুণ৷ আর এখন দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন চলার সময় তিনি শতায়ু পার করা এক প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে অন্যতম৷ তাই শুরু থেকেই এই মানুষটি লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছেন৷ পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের উদয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা উজির আলি খানের বয়স এখন ১০১ বছর৷ স্বাভাবিকভাবেই বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত তার শরীর৷ তবুও ভোটদানের অধিকার থেকে কিছুতেই তিনি পিছু হঠে আসতে চান নি৷ ভোটদানের ইচ্ছা পূরণে তার বাড়িতেই পৌছে গেলেন নিবাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা৷
কমিশনের ব্যবস্থাপনায় বাড়িতে বসে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে তিনি আপ্লুত৷
খণ্ডঘোষ বিধানসভা বিষ্ণুপুর লোকসভার অধীন৷ আগামী ২৫ মে হবে এই লোকসভার ভোট গ্রহণ৷ তাই ভোট নিয়ে এখন উন্মাদনায় ভাসছে খণ্ডঘোষ৷
বয়সের ভারে শরীর ভারাক্রান্ত হলেও গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব প্রৌঢ় উজির আলি খানের মনেও
যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে৷ দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে ভোট দানে অংশ নেওয়াটা যে জরুরি সে কথা তিনি বারেবারে বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ তবে এর জন্যে বিশেষ সমস্যা পোয়াতে হয় নি৷ ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা খণ্ডঘোষ ব্লকের আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে পৌছে যান৷ তাদের সহায়তায় উজির আলি পোস্টাল ব্যালটে নিজের ভোট দেন৷ উজির আলি খান এদিন বলেন, আমার এখন ১০১ বছর বয়স৷ যৌবনে যখন ভোট দিতাম তখন পুলিশি তৎপরতা থাকতো ঠিকই৷ কিন্ত্ত ভোট নিয়ে তখন কমিশনের এত ব্যবস্থাপনা, প্রচারের এত জৌলুস এসব ছিল না৷ ভারাক্রান্ত শরীর নিয়ে বাড়িতে বসেই যে ভোট দিতে পারবো সেটা ভাবতে পারিনি৷ কমিশনের লোকজন বাড়িতে এসে আমার ভোট নিয়ে গেছেন৷ এভাবে ভোট দিতে পেরে আমি খুশি৷