সুন্দরবন রক্ষায় কেউ টাকা না দিলেও আমাদের সরকার উন্নয়ন করবে

তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৮ মাচ– আমাদের সরকার মা মাটি মানুষের সরকারকে কেউ টাকা না দিলেও মানুষের জন্য উন্নয়ন মূলক কাজ করবে৷ এই তো সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশকে টাকা দেয় বিশ্বব্যাঙ্ক৷ আমাদের দেয় না৷ কেন্দ্র একশো দিনের কাজের টাকা দেয়নি সাধারণ মানুষকে৷ আমরা তা দিয়েছি৷ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ আমাদের সাথে৷ একশো ভাগ নিশ্চিন্ত জিতবোই৷ গভীর আত্মবিশ্বাস নিয়ে সোমবার বিকেলে আলিপুর নব প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এ কথা জানালেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জেলাপরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বাপি হালদার৷ এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান, রবিবারই বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া ইনচার্জ সহ বিজেপির পঞ্চায়েতের দু’জন ও আই এস এফ এর শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন৷ আরো অনেকে যোগ দেবার অপেক্ষায়৷ প্রশ্ন ছিল, এত দুর্নীতি নেতা মন্ত্রীরা জেলে তবুও জেতার আশা রাখেন ! যুব তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী বাপি হালদারের প্রত্যয়ী উত্তর, এসব তৈরি করা ঘটনার ফল৷ মিডিয়ার একাংশকেও কাজে লাগানো হয়েছে৷ ওদের (পড়ুন বিজেপি) আছে ইডি সিবিআই৷ আমাদের সঙ্গে আছে মানুষ৷ ইভিএম মেশিনে সব জবাব মিলবে৷

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল তৃণমূলের তরুণ প্রার্থীর কাছে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলছেন বিজেপি বিয়াল্লিশটাই পাবে৷ কিছুটা শ্লেষ মিশিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মথুরাপুর লোকসভার প্রার্থীর উত্তর, একুশের ভোটেও বলেছিল দোশো পার! শেষে কী হলো! ঐ বিয়াল্লিশটা আসনে আমরাই জিতবো৷ দু-একজন কারা দল বদল করলো তাতে কিচ্ছু যায় আসে না৷ প্রশ্ন ছিল সাগরে রেশন দুর্নীতি কী বলবেন? উত্তর আসে, দুর্নীতির সাথে কোনও আপোষ নয়৷ সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর সাথে এ নিয়ে কথা হয়েছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ দোষীরা কেউ ছাড়া পাবে না৷


আম জনতার হাজারো চাপা অভিমানের ঘর থেকে মথুরাপুরে আবারো জয় আসবে কীনা সময় বলবে৷ প্রসঙ্গত, প্রাক্তন আই পি এস অফিসার চৌধুরী মোহন জাটুয়া এই মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে পর পর তিন বার জয়ী হয়েছেন৷ জয়ের আশা রাখছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস৷ মথুরাপুরে বিজেপির সংগঠন খানিকটা এলোমেলো৷ জয়ের আশা ক্ষীণ হলেও একটু আশা আদি বিজেপির কর্ম কর্তাদের৷ ব্যাখা, ২০০৮ সালে জেলাপরিষদ পেয়েছিল আজকের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেই সময়ে সেই অর্থে মজবুত সংগঠন ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসের৷ সব বুথে তারাও এজেন্ট বসাতে পারেনি৷ তবুও চুপচাপ ঘাস ফুলে ছাপ দিয়েছিল সাধারণ গ্রামের মানুষ বামেদের প্রতি প্রবল ক্ষোভে৷ তখনকার বিরোধীদল তৃণমূল কংগ্রেসও ভাবেনি সত্যিই তারা বামেদের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাপরিষদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাপরিষদ পেয়ে প্রথম এ রাজ্যে শাসকদলের আসনে বসবে৷ সম্ভব হয়েছিল মানুষের ইচ্ছায়৷ এমনই মিরাকল এর অপেক্ষায় আর এস এস করা নিবেদিত প্রাণ বিজেপির জেলা কর্মীদের৷ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও মরিয়া দুর্নীতির ক্ষত মেরামতিতে৷ জুন মাসের শুরুতেই মিলবে সব প্রশ্নের উত্তর৷