নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুর্গাপুজো। শারদোৎসব এর প্রস্তুতির লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা , স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার-সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। দুর্গাপুজো কমিটিগুলির কর্তাদের পাশাপাশি বৈঠকে সর্বধর্মের প্রতিনিধিত্বও থাকবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। উপস্থিত থাকবেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে কলকাতা পুলিসের পদস্থ আধিকারিকেরাও।
এছাড়াও দমকল, কলকাতা পুরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সিইএসসির মতো পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন। এই বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছর বারোয়ারি পুজো কমিটির সরকারি অনুদান থেকে শুরু করে বিদ্যুতের বিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে থাকেন। এ বারও তেমন ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করছেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা।এ বছর মহালয়া ২ অক্টোবর, আনুষ্ঠানিক ভাবে ৯ তারিখ ষষ্ঠী তিথি থেকে উৎসবের সূচনা। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে যে দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়, সেই দিন থেকেই কলকাতার মণ্ডপগুলিতে উদ্বোধন পর্ব শুরু হয়ে যায়। রাজ্য তথা পুলিশ প্রশাসনকে সে কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। পুজোর দিনগুলিতে যাতে প্রশাসন সুষ্ঠু ও সুচারু ভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই পুজো কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে সমন্বয়ে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে কলকাতায় পুজো কমিটিগুলি নিজেদের শারদোৎসবের আসর সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সেই কারণেই জুলাই মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠক করে ফেলতে চাইছেন। রাজ্য তথা পুলিশ- প্রশাসন কমিটিগুলির কাছ থেকে কী রকম সহযোগিতা চাইছে, বৈঠকে সেই বিষয়েও আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার পুজো কমিটিগুলির সমন্বয়ক সংস্থা ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের অন্যতম কর্তা শাশ্বত বসু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী না চাইতেই আমাদের জন্য অনেক কিছুই বন্দোবস্ত করে দেন। তাই পুজো কমিটিরগুলির চাওয়ার কিছুই থাকে না। ওই দিনের বৈঠকে আমরা পুজো কমিটির সদস্যরা হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ শুনব। তাঁর নির্দেশ মেনে কলকাতার শারদোৎসবকে কী ভাবে সাজিয়ে তোলা যায়, সেই লক্ষ্যেই আমরা বৈঠকে যোগদান করব।’’