খড়গপুরে মন্দির-গুরদোয়ারায় প্রার্থনা সেরেই প্রচারে জুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়গপুর, ২২ মার্চ— বাড়িতে ডাকাতি হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে খড়গপুর শহরে অপরাধমূলক কার্যকলাপ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বনথা মুরলীধর রাও৷ পুলিশি ধরপাকড় চললেও অপরাধের গ্রাফ নামছে না বলেও মন্তব্য করেন বনথা মুরলী৷
খড়গপুর শহরে পা রাখার পর মেদিনীপুর লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়ার দিকে প্রশ্নবাণ ছুটে আসতেই ‘ডাক’ করলেন তিনি৷ জুনের কথা, প্রথমদিন প্রচারে এসে শহরের বিভিন্ন ধর্মস্থানে তিনি যাবেন৷ এইদিন ‘ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটিস’ বেড়ে যাওয়া নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না৷ পরে তিনি এই বিষয়ে কথা বলবেন৷

২০১৬-য় বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে এসে খড়গপুরের মাফিয়ারাজের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ সেই দিলীপের খাসতালুকে পা দিয়ে জুন বলেন, ‘দিলীপদা নিশ্চয়ই আমাকে আশীর্বাদ করবেন৷ তিনি আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ, দিলীপদা৷’

আজ প্রথমে নিমপুরা গুরুদোয়ারায় গিয়ে প্রার্থনায় যোগ দেন জুন৷ তারপরে তিনি হাজির হন ১১ নং ওয়ার্ডের শিব-কালী মন্দিরে৷ সেখান থেকে ১৪ নং ওয়ার্ড ছুঁয়ে গোলবাজারে চাঁদনিচক দুর্গামন্দিরে গিয়ে দেবীর প্রার্থনা করেন৷ সেখান থেকে জামা মসজিদে গিয়ে সংখ্যালঘু মানুষদের রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানান৷ এরপরে তিনি মাতা মন্দির ঘুরে ওল্ড সেটেলমেন্ট বালাজি মন্দির গিয়ে প্রার্থনা করেন৷ পরে ১৭ নং ওয়ার্ডের বাবু পার্কে বেনিফিশিয়ারিদের সঙ্গে কথা বলেন৷ জুন বলেন, ‘শুধু প্রচারের জন্য ধর্মস্থানে যাইনি৷ এই কাজ নিয়মিত করে থাকি৷’


মালঞ্চ শিবকালী মন্দির এবং গোলবাজার চাঁদনীচক দুর্গামন্দির থেকে জামা মসজিদ হেঁটে আাসার পথে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক করেন জুন৷ ভোটের এখনও বাকি দু’মাস৷ ভোটের তাপ সেভাবে ওঠেনি৷ তাই মানুষের সাড়াও ছিল কম৷ খড়গপুর সদর বিধানসভায় ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ এই ‘লিড’টাই তৃণমূলের মাথাব্যথা৷ লিড কমানোটাই লক্ষ্য৷ সেই লক্ষ্যপূরণ করে জুন মাসে জুনের হাসি ফোটানোটাই চ্যালেঞ্জ তৃণমূলকর্মীদের সামনে৷ উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দীনেন রায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজয় হাজরা, প্রবীর ঘোষ, বিষ্ণুপ্রসাদ, দেবাশিস সেনগুপ্ত প্রমুখ৷