দিল্লি, ২৯ মার্চ— প্রথমে জার্মানি পরে আমেরিকা এবার রাষ্ট্রসংঘ৷ এবার খোদ রাষ্ট্রসংঘ খানিকটা জার্মানি এবং আমেরিকার সুরে দিল্লির উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি এবং কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, এই দুই বিষয়ে এবার রাষ্ট্রসংঘে প্রশ্নের মুখে ভারত৷ ভোটমুখী ভারতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দুই পদক্ষেপ নিয়ে এবার পরোক্ষে উদ্বেগপ্রকাশ করল খোদ রাষ্ট্রসংঘ৷ রাষ্ট্রসংঘের ‘আমরা আশা রাখছি ভারতে সবার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে’ বক্তব্যে ভারত চাপের মুখে বলেই মনে করছে রাজনীতিকমহল৷
উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে আগেই মুখ খুলেছে জার্মানি এবং আমেরিকা৷ বুধবার দিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গ্লোরিয়া বারবেনাকে তলব করেছিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক৷ কারণ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে আমেরিকা মন্তব্য করেছিল যে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে৷ কারণ আমেরিকা সবসময়ই ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি ব্যবস্থার পক্ষে৷ জার্মানির বক্তব্য ছিল, ‘যে কোনও অভিযুক্তের মতোই কেজরিওয়ালও ন্যায্য ও পক্ষপাতহীন বিচারের অধিকারী৷ কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই তিনি যেন সব ধরনের আইনি রাস্তায় যেতে পারেন৷ সেটাই আমাদের প্রত্যাশা৷’ একই সুরে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইসু্যতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকাও৷ মার্কিন বিদেশমন্ত্রক আবার বলে দেয়, কেজরির গ্রেফতরির বিষয়টি তাদের নজরাধীন রয়েছে৷ আপ সুপ্রিমোর বিচার যেন ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী হয়৷ জার্মানি এবং মার্কিন উদ্বেগে কড়া জবাবই দিয়েছিল দিল্লি৷ কিন্ত্ত এবার রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগে ভারত কি করে তাই দেখার৷
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিচ বললেন, ‘আমরা ভীষণভাবে আশাবাদী যে ভারত বা যেসব দেশে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানেই সবার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে৷
এর মধ্যে যেমন রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়টি রয়েছে, তেমনই রয়েছে সামাজিক অধিকার৷ আমরা চাই, সবাই যেন নির্ভয়ে সুষ্ঠুভাবে ভয়মুক্ত পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে৷ ”
উল্লেখ্য, এর আগে জার্মানি এবং আমেরিকা দুই দেশকেই জবাব দিয়েছে ভারত৷ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপই বরদাস্ত করা হবে না, সাফ জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি৷ এবার রাষ্ট্রসংঘের এই উদ্বেগ নিয়ে দিল্লি কী পদক্ষেপ করে, সেটাই দেখার৷