• facebook
  • twitter
Sunday, 30 March, 2025

কবিতা গুচ্ছ

চাঁদনি রাতে মামণি কয় চাঁদমামাকে ডেকে, ‘খোকার চোখে ঘুম দিয়ে যা আদর সোহাগ মেখে। মোয়া দেব মুড়কি দেব আরো দেব খই, সঙ্গে দেব মিষ্টিমাখা গামছা বাঁধা দই।

কাল্পনিক চিত্র

খোকার সমস্যা
সৌমেন্দু লাহিড়ী

মেঘ রয়েছে আকাশ জুড়ে
ডাকছে আবার জোরে,
এমন দিনে খোকা মাঠে
খেলবে কেমন করে?
তাদের আছে ফুটবল ম্যাচ
বিকেলবেলা আজ,
এমন দিনেই সাজতে হল
আকাশকে এই সাজ?
এরপর তো হতেই পারে
ভীষণ ঝড় ও জল,
এই ভেবেই খোকার চোখ
করে টলোমল।
এমন সময় হঠাৎ করে
সূর্য দিল উঁকি,
ভাবল সবাই কাটল এবার
সব বিপদের ঝুঁকি।
চলল খোকা মাঠের দিকে
সঙ্গী-সাথী নিয়ে,
ম্যাচ জিতে ফিরল তারা
কয়েকটা গোল দিয়ে।

 

ঝরনা নামে চোখে
সুরভি চট্টোপাধ্যায়

তোমরা হলে মস্ত মানুষ
আমি কুঁড়েয় থাকি,
তাপ্পি জামায় ময়লা প্যান্টে
দুঃখ জড়িয়ে রাখি।

রাত্রি কাটে ধুলোর কোলে
চাঙড় রাখি মাথায়,
খিদের পেটে পাথর ভাঙি
কষ্ট লিখি পাতায়।

শীতের ঋতু যখন আমার
ঝরনা নামায় চোখে,
তোমরা তখন বলতে থাকো
সরাও দেখি ওকে।

ব্যথার নুড়ি জমিয়ে বুকে
আকাশ তলায় বসি,
ভোরের পাখি ডাকবে কখন
হিসেব নিকেশ কষি।

 

পুষির প্রতিজ্ঞা
সুজন দাশ

খুকুর বিড়াল পুষি,
নয় মোটে আজ খুশি!
ধরতে গিয়ে পুঁচকে ইঁদুর,
ধমক খেতে হলো দিদুর;
উল্টে দিলে চিনির কৌটো
মারলো রেগে ঘুষি।

গোমড়া মুখে পুষি,
উঠলো বেজায় রুষি!
আসুক ইঁদুর আবার,
করবে খেয়ে সাবাড়।
বদলা তাকে নিতেই হবে
তবেই হবে খুশি।

দেখে পুষির দশা,
খুকুরও মন কষা!
নিল টেনে কোলে,
কষ্ট যাতে ভোলে।

 

চাঁদ মামা
বেণীমাধব সরকার

চাঁদনি রাতে মামণি কয়
চাঁদমামাকে ডেকে,
‘খোকার চোখে ঘুম দিয়ে যা
আদর সোহাগ মেখে।

মোয়া দেব মুড়কি দেব
আরো দেব খই,
সঙ্গে দেব মিষ্টিমাখা
গামছা বাঁধা দই।

তাল-তমালের শীতল ছায়ার
মায়ায় ভরা বাড়ি,
না আসলে তোমার সাথে
খোকন দেবে আড়ি।’