বসন্তোৎসব
দীপঙ্কর সরকার
আকাশ জুড়ে আলোর মেলা
কৃষ্ণচূড়া ফুলে
গাছে গাছে আগুন যেন
হাওয়ায় ওঠে দুলে।
মৌমাছিরা গান গেয়ে যায়
ফুলের মধু খেয়ে—
শিশুর মুখে বেজায় হাসি
সেদিক পানে চেয়ে।
আবির রঙে রাঙা হৃদয়
যত বর্ণ বৈভবে
দিকে দিকে খুশির নাচন
এ বসন্ত উৎসবে।
এলাটিং বেলাটিং
অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায়
এলাটিং বেলাটিং খেলার ছলে
রাজামশাই বন্দি করে।
কানামাছি খেলতে গিয়ে দুচোখ যখন বাঁধা
হায় রে খেলা হারায় কখন চোখে লাগে ধাঁ ধাঁ।
এক্কা দোক্কা খেলতে খেলতে সন্ধে নামল যেই
পড়তে বসার আদেশ এলো হারিয়ে গেল সেই।
চোর পুলিশ খেলতে গিয়ে ধরা পড়া
মিথ্যে মিথ্যে সবাইকে জেলে ভরা।
খেলতে হলো বেলা
সাঙ্গ করো খেলা তোমার এই বেলা।
এখন তো আর নেই যে সেসব মজার খেলা
এখন শুধু ঘরে বসে মোবাইলে গেম খেলা।।
স্মৃতি
মৌসুমী দত্ত
সময়টা বড়ো সুন্দর ছিল
যখন ছিলাম ছোট্টো,
মা বলতো রাতের বেলায়
লালপরীটার গপ্পো।
বন্ধ চোখে, চুপি চুপি—
এঁকেছিলাম ছবি,
পক্ষীরাজে রাজার কুমার
হাসছে মিটিমিটি।
কোথায় গেলো সেসব দিন?
হারিয়ে গেছে বুঝি!
বইয়ের ফাঁকে রূপকথা যে,
মারছে উঁকিঝুঁকি।
হারিয়ে গেছে ছোট্টো জীবন;
গুলিয়ে গেছে স্মৃতি!
বুকের মাঝে রয়ে গেছে—
মনের যত চিঠি।
ছোট্টো চোখে, বড় স্বপ্ন
দেখছে যে আজ রবি,
অবুঝ চোখে আকাশপানে
তাকিয়ে ভাবুক কবি।
আমার একটি ভাই আছে
আলমগীর কবির
ভাইটি আমার ছোটো
ছুটির দিনে ঘুমাই যদি
বলবে, ভাইয়া ওঠো।
তোমার খেলনা গাড়ি আমায়
দাও না একটু ধার,
একটুখানি বকা দিলেই
মুখ করে সে ভার!
আমি যখন ইশকূলে যাই
পিছু পিছু যাবে,
দাঁত খেয়েছে পোকায় তবু
রোজ চকলেট খাবে।
মায়ের কোলে মাথা রেখে
বলবে আমার মা,
ভাইয়ের মুখের মিষ্টি হাসি
ভুলতে পারি না।