পথ
শক্তিপ্রসাদ ঘোষ
অনেক হাঁটার পরে পিছিয়ে যাওয়া পথ
মনে পড়ে
ধুলোর কণা স্মৃতিকে ডেকে এনে
আঁতুড়ঘরের গল্প শোনায়
ডাকপিয়ন পত্রপাঠ বিদায় নেয়
মনে লেগে আছে হেমন্তের ধানের গন্ধ
মাথার মধ্যে পথ ঘুরপাক খায়
ঝিঁঝিঁপোকার ঝিঁঝি বাদ্য বেজে ওঠে পথ।
ইচ্ছে হলে সুস্থ হতে পারি
তাপস ওঝা
কী করে আলাদা করি!
সুস্থতার থেকে ঠিক কতটা দূরত্ব থেকে গেলে
অসুস্থও হয়ে যেতে পারি?
সকালে গাছের পাশে বসে
যদি খুব একা হতে পারি
যদি বেশ শীত-শীত ভাব থাকে মনের ভেতরে
যদি অভিমান পাখিদের কলরব
শুনতে না দেয়—
তবে কি অসুস্থ আমি?
যেখানে একক মানুষ বসে থাকে
তার কাছে ছোট এক রেলব্রিজ
থেকে যাওয়া ভালো,
ট্রেন এলে নিশ্চিত জানান দেবে সেই রেলব্রিজ
ব্রিজের ওপরে ট্রেন যেন ব্রজের রাখাল
বাঁশি যদি বাজে
অসুস্থ মানুষ নিজে নিজে সুস্থ হয়ে যায়!
এখনো বেঁচে আছি
মিষ্টিবৃষ্টি রায়
শব্দের শরীর থেকে
তর্জমায়—
পরিশ্রুত তুমি।
শৌভিক!
কীভাবে যোগ্য হই,
এ আনন্দ কেন?
আমি
নিজ হৃদিকন্দরে ঝাঁপ দিই
পূর্ণ পাত্র অন্ধকারে
নিঃশব্দে উপচিয়ে পড়ে
হে অন্ধকার বৈতরণী নদী
কিছু থেমে যাও,
সামান্য থামো!
তারা শীতল কড়িতে আজো
বোজায়নি এই দুটি চোখ
আমি কীসে দেবো
তোমার পারানি?
চমকডাঙি
গৌতম বাড়ই
হৃদয়ে বিঁধেছে যত তন্তুতান
নদীর তলে আরো কোন গভীরে হরিণকথা উপাখ্যান
হরিণ এখানে ছাগলের মতন বিচরণ করে মাঠেঘাটে
মায়াবীচোখের সজল অক্ষিপক্ষ্ম তুলে তুলতুলে তাকায় নরম
এখানে তরাইয়ের বনে ঘাস খেতে আসে রোজ
আমাদের রোদের চমকডাঙি তিস্তা পারে
চিকচিক করে সাদা সাদা বালি ছনেরবন
জলে প্রণয়বদ্ধ বালিহাঁসেরা
দৃশ্য থেকে দৃশ্যের জন্ম আবহমানে
ওদের নরম চোখের ওপর এসে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা
কী বলব দৃশ্য! নাকি ঈশ্বরের সাতরঙা অপূর্ব ক্যানভাস!
বিস্তীর্ণ নীলজলরাশি সবুজপাহাড় হরিণের চারণভূমি
চমকডাঙি! নাকি ঈশ্বরের বাসভূমি! অনন্য একক!