• facebook
  • twitter
Sunday, 16 March, 2025

অতিথি

দিনক্ষণ ঠিক করে একদিন সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম শিবুর গ্রামের উদ্দেশে। একটু ঘুরে আসতে ক্ষতি নেই।

কাল্পনিক চিত্র

প্রদ্যোৎ পালুই

বাজারের মাঝে যে ইলেকট্রিক পিলারটা আছে তার গোড়াতে নানারকমের সবজির পসরা সাজিয়ে নিয়ে বসে লোকটা। বয়স পঞ্চাশের চেয়ে একটু বেশিই হবে। গায়ে একটা গেঞ্জি, কাঁধে গামছা, পরনে ধুতি, গলায় তুলসীর মালা। বাজার গেলে চোখাচোখি হলেই বলে, ‘বাবু, কিছু লিবেননি? একদম অরিজিনাল। আমার চাষের জিনিস।’

‘বেগুন, মুলো, লাউ, কুমড়ো, নানা রকমের শাক ইত্যাদি হরেক রকম জিনিস নিয়ে সে বসে। তার অনুরোধ ফেলতে পারি না। একটু হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখি। পছন্দ হলে এবং দামে পুষিয়ে গেলে কোনদিন একটা-দুটো সবজি কিনে নিই। পরদিন দেখা হলেই জিজ্ঞেস করে, ‘বাবু, কেমন ছিল সবজিগুলা?’

সবজি সত্যিই টাটকা। খারাপ বলা যাবে না। আমি মাথা নেড়ে বলি, ‘ভাল ছিল।’
সে সঙ্গে সঙ্গে বলে, ‘আজ কিছু লিবেননি?’
‘কী নেব বল তো?’

‘বাবু, কাঁচালঙ্কা লিয়ে যান। আমার চাষের কাঁচা লঙ্কা। দারুণ ঝাল। একটা লঙ্কা হলে দুজনের মুড়ি খাওয়া হয়ে যাবে।’
কাঁচালঙ্কা শুধু মুড়ি খেতে নয়, রান্নাতেও লাগে। নেওয়া যেতে পারে। জিজ্ঞেস করলাম, ‘দাম কত?’
‘কুড়ি টাকা শ।’

‘তোমার সব জিনিসের বড্ড বেশি দাম। ইচ্ছে থাকলেও কেনা যায় না।’
হাসল লোকটি। ‘কী যে বলেন বাবু! ভাল জিনিসের দাম তো একটু বেশি হবেই।’
আমি সামান্য রাগ দেখিয়ে বলি, ‘তাহলে কি বাজারে শুধু তোমার জিনিস ভাল, অন্যান্য সবার জিনিস খারাপ?’
দাঁতে জিভ কেটে ও বলে, ‘না বাবু, সেকথা বলিনি। বলছি, ভাল জিনিস হলে দাম একটু বেশি হবে। ঘন ঘন বর্ষা হয়ে ফসল সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তাই সবার জিনিসেরই দাম একটু বেশি। দিই তাহলে এক’শ?’
‘তোমার জিনিসের দাম আরও একটু বেশি।’
একটু দমে গেল লোকটি। জানতে চাইল, ‘অন্য জায়গায় কাঁচা লঙ্কার কত দাম?’
‘পনেরো-ষোল টাকা শ।’

‘আমাকেও তাহলে পনের টাকাই দেন। দিই তাহলে এক’শ?’
‘দাও একশো গ্রাম।’
লোকটি লঙ্কা ওজন করে দিল। দু’দিন পরে বাজারে গিয়ে তার কাছে পৌঁছাতেই জিজ্ঞেস করল, ‘বাবু, লঙ্কায় ঝাল ছিল?’
‘ঝাল মানে, ভীষণ ঝাল! খেলে পেট পর্যন্ত জ্বালা ধরিয়ে দেয়।’

দাঁত বের করে হেসে সে বলল, ‘আজ তাহলে কিছু দিই।’
‘না, আজ কোনও সবজি লাগবে না। আজ শুধু একটু মাছ নিতে এসেছি।’ বলে দিয়ে না দাঁড়িয়ে হনহন করে এগিয়ে গেলাম।
দিন, মাস, বছর গড়ায়। বাজারে গেলে কথাবার্তা, আলাপচারিতা, কেনাকাটা করতে করতে লোকটির সঙ্গে পরিচয় বেড়ে ওঠে। একদিন কথা

বলতে বলতে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আচ্ছা, এতদিন ধরে তোমার কাছে সবজি কিনছি, তোমার নাম কোনোদিন জানা হয়নি।’
‘আমার নাম শিবপ্রসাদ মন্ডল। লোকে শিবু বলে ডাকে।’ একটু হেসে নিয়ে বলে, ‘বাবু, আপনার নামটা—’

‘আমার নাম ভবতারণ রায়। তোমার বাড়ি কোথায়?’
‘ভাটরা।’
‘সেটা কোথায়?’
‘জানেননি? পাকা রাস্তা ধরে দ্বারকেশ্বর নদী পেরিয়ে ওপারে নদীর ধারে আমাদের গ্রাম।’

আরও অনেক কথা হয়। বাড়িতে আর কে কে আছে, চাষের জমি কতটা, কে চাষ করে …ইত্যাদি। সবদিন আমার বাজারে যাওয়ার দরকার হয় না। তবে ইদানিং বাজারে গেলে দামাদাম করে শিবুর কাছে কিছু না কিছু কেনা হয়েই যায়। ওর কাছে অনেক রকম সবজি থাকে। ব্যবহারটিও মিষ্টি। দাম যাই নিক না কেন, ওজনে বা কোয়ালিটিতে ঠকায় না। এতদিনে সেই বিশ্বাস আমার হয়েছে।

নভেম্বর মাস। বাতাসে শীতের শিরশিরে ভাব। একদিন দেখলাম, আনাজের সঙ্গে প্রচুর কৎবেল নিয়ে শিবু বাজারে বসেছে। ছোটবেলায় কৎবেল দেখেছি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা বড় কৎবেলের গাছ ছিল। কার্তিক-অঘ্রান মাসে ঠাকুমার সঙ্গে ভোরবেলায় উঠে কৎবেল কুড়োতে যেতাম। তবে ওই পর্যন্তই। ঠাকুমা, মা-কাকীমারা খেলেও আমি কোনোদিন খেতে পছন্দ করতাম না। ফলে একটু বড় হয়ে আমি আর ঠাকুমার সঙ্গে যেতাম না। হঠাৎ একদিন দেখলাম, কৎবেল পড়ে চাষের ফসলের ক্ষতি করছে বলে লোক লাগিয়ে গাছটা কেটে ফেলল বাবা। তখন থেকে ঠাকুমারও কৎবেল কুড়ানো বন্ধ হয়ে গেল। তারপর থেকে আর কোনোদিন কৎবেলের সঙ্গে আমার দেখাসাক্ষাৎ নেই। সেদিন হঠাৎ শিবুকে কৎবেল নিয়ে বাজারে বসতে দেখে মুহূর্তের জন্যে ছোটবেলায় ফিরে গেলাম। কৎবেল নিয়ে পাড়ার অনেকের উৎসাহ ছিল। ভোরে উঠে ঠাকুমা যাওয়ার আগে কোনো-কোনোদিন অন্য কেউ আমাদের গাছের কৎবেল কুড়িয়ে নিত। সেদিন ঠাকুমা চিৎকার চেঁচামেচি করত। তাই শুনে বাবা ঠাকুমাকে বলত, ‘এমন কিছু আহামরি ফল নয় যে, তার জন্যে এত চিৎকার করতে হবে। কে খাবে তোমার এত কৎবেল?’

‘ঠাকুমা বলত, ‘আমরা না পারলে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠাব।’
বাবা রাগ দেখিয়ে বলত, ‘কৎবেল কোথাও পাঠাতে হবে না।’
পুরানো অনেক কথা মনে পড়ছে। শিবুকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আচ্ছা শিবুদা, তুমি এত কৎবেল কোথা থেকে পাও?’

আবার হাসল শিবু। কিছু প্রশ্ন করলেই হেসে নেওয়া ওর স্বভাব। বলল, ‘বাবু, আমার তিনটা বড় বড় কৎবেলের গাছ আছে। প্রচুর বেল হয়। অনেকে পছন্দ করে। তাই বাজারে লিয়ে আইচি। দুব নাকি বাবু? দারুণ মিষ্টি। খেয়ে দেখবেন।’
‘আজকালকার দিনে এর নামই কেউ জানে না। খাওয়া তো অনেক দূর।’

শিবু বলে বসল, ‘কেউ যখন নাম শুনেনি, খায়ওনি, তাহলে তাদেরকে দেখানোর জন্যে আপনাকে আজ লিতেই হবে।’
‘নিয়ে কী করব। অযথা পয়সা নষ্ট। কেউ খাবে না। ফেলে দিতে হবে।’

‘বাবু, আপনাকে পয়সা দিতে হবেনি। আজ ফিরিতে দু’টা দুব। লিয়ে যান। ঘরে যেয়ে নুন, কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাল করে মেখে খাবেন। ভাল লাগলে পরের দিন দাম দিয়ে কিনে লিয়ে যাবেন।’ বলে নিজে থেকে বেছে দুটো কৎবেল প্রায় জোর করেই আমার ব্যাগে ঢুকিয়ে দিল। ফ্রি-তে নিতে আমার বিবেকে বাধল। যতই নিজের গাছের হোক, তবুও দুটো পয়সা রোজগারের আশায় ও বাজারে এনে বসেছে। বললাম, ‘ঠিক আছে, দিয়েছ যখন, দুটোর দাম কত বল?’

‘দাম দিতে হবেনি। আপনি লিয়ে যান। খেয়ে দেখুন।’
নাছোড়বান্দা শিবুর পাল্লায় পড়ে দুটো কৎবেল ফ্রি-তে নিতেই হল।

বাজার থেকে ফিরে মীরাকে বললাম, ‘বুঝলে আজ একটা নতুন জিনিস এনেছি। এর নাম তোমরা বোধ হয় শোনোনি। এখন তো এসব ফল আর দেখা যায় না।’ বলে ব্যাগ থেকে সবার আগে কৎবেল দুটো বেল করে দেখালাম। মীরা তৎক্ষণাৎ বলল, ‘কৎবেল তো, জানি।’ ছেলের বউ পল্লবী আজকের দিনের মেয়ে। ভাবলাম, ও নিশ্চয়ই দেখে নাক সিঁটকোবে। কিন্তু একি! সে আর একধাপ এগিয়ে বলল, ‘আমাদের পাড়ার শ্যামলকাকুদের একটা গাছ ছিল। একসময় কতো খেয়েছি। দারুণ খেতে। এখানের বাজারে এসব পাওয়া যায়?’

‘পাওয়া যায় মানে, বেশি পাওয়া যায় না। দু-একজন আনে। তবে আমি যার কাছে মাঝেমাঝে সবজি কিনি সে আজ প্রচুর এনেছিল। ঢেলে বিক্রি করছে। তার গাছের ফল। আমাকে জোর করে দুটো ধরিয়ে দিল। বলে কিনা ভাল লাগলে অন্যদিন পয়সা দিয়ে কিনবেন। আজকের দুটো ফ্রি।’

পল্লবী আহ্লাদে আটখানা। শহরের বাজারে কৎবেল পাওয়া যাবে একথা সে ভাবতে পারেনি। বলল, ‘বাবা, এবার থেকে বাজারে গেলেই দু-চারটে করে নিয়ে আসবেন। আমার খুব ভাল লাগে।’

বললাম, ‘তুমি একা খাবে কিন্তু। মীরা কোনদিন খায়নি, খাবেও না। আমি তো একদমই নয়।’

মীরা তৎক্ষণাৎ রিঅ্যাক্ট করল, ‘বাজারে কৎবেল পাওয়া যায় সেকথা আমি জানব কী করে? আমার খুব ভাল না লাগলেও আমি খেয়েছি। খারাপ লাগে না।’

তখন থেকে সিজনে বাজারে কৎবেল পাওয়া গেলে দু-চারটে কিনে আনতে হয়। ওরা দুজনে মশলা দিয়ে মেখে খায়। আমাকেও একটু খেতে অফার করে। আমি খেতে পারিনি।

সময় এগিয়ে যায়। শিবুর সঙ্গে পরিচিতি ঘনিষ্ঠতার রূপ নেয়। এখন বাজারে গেলে তার কাছে যেসব আনাজ পাওয়া যায় সেগুলো অন্য কারও কাছ থেকে কিনি না। তবে দামে তার কোন বোঝাপড়া নেই। একটু বেশিই দাম নেয় বলে মনে হয়। তবুও তার কাছ থেকেই কিনি। জিনিসের কোয়ালিটি অন্তত ভাল পাওয়া যায়।

একদিন বাজার বেরনোর সময় মীরা বলে দিল, পুজো আছে। কিছু গাঁদা ফুল কিনে আনতে। বাজারে গিয়ে দেখি, শিবু অন্যান্য সবজির সঙ্গে একটা পলিথিনের ব্যাগে করে এক ব্যাগ ফুল নিয়ে বসেছে। জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কি ফুলের চাষও করো নাকি?’
আবার মুচকি হাসি। ‘সবকিছু চাষ করি, বাবু। না হলে খেতে পাবনি। চাষ করেই তো আমাদের সংসার চলে।’

আমার আগ্রহ বেড়ে গেল। বললাম, ‘বুঝলে শিবুদা, একদিন তোমার বাড়ি যাব। কেমন চাষবাস করো, কী কী চাষ করো সবকিছু দেখে আসব।’
‘আপনি কি আর যাবেন বাবু? মুখেই বলছেন। যাবেন নাই আপনি।’

‘বলছি তো যাব। নদীর ধারে তোমার গ্রাম দেখে আসব। সবুজ ফসলে ভরা মাঠ দেখে আসব। হলুদ রঙের গাঁদা আর সরষে ফুলের মাঠে ঘুরে বেড়াব। এসব দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।’

‘কবে যাবেন বলুন। সেদিন আমি বাজারে আসবনি। আপনার জন্যে পাকা রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়িয়ে থাকব। আপনাকে সঙ্গে করে লিয়ে যাব।’

‘তার দরকার হবে না। আমি নিজেই চলে যেতে পারব। তাছাড়া আমার জন্যে তোমাকে বাজারে আসা বন্ধ করতে হবে না। আমি মোটরবাইক নিয়ে বিকেলে যাব। তোমার ফোন নম্বরটা দাও। নদীর ধারে গিয়ে তোমাকে ফোন করে ডেকে নেব।’

হাসল শিবু। ‘আমার নিজের ফোন নাই। আপনি সকালে যাবেন। একদিন বাজারে না বসলে আমার কোনো ক্ষতি হবেনি। কবে আসবেন বলবেন। আমি আপনাকে সঙ্গে করে লিয়ে যাব। মাঠে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাব।’

দিনক্ষণ ঠিক করে একদিন সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম শিবুর গ্রামের উদ্দেশে। একটু ঘুরে আসতে ক্ষতি নেই। গ্রামে আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা হলেও এখন গ্রামের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। কিন্তু মন থেকে গ্রাম হারিয়ে যায়নি।

নদী পেরিয়ে ভাটরা গ্রামে যাবার মোড়ে পৌঁছে দেখি, শিবু সেখানে দাঁড়িয়ে আছে একটা সাইকেল নিয়ে। আমাকে দেখে বলল, ‘আমার পিছু পিছু আস্তে আস্তে মোটর সাইকেল চালিয়ে আসুন। বেশিদূর লয়, এক মাইল দূরেই আমাদের গ্রাম।’ মিনিট পাঁচেকের মধ্যে পৌঁছে গেলাম শিবুর বাড়িতে। সেখানে সকলের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিল। বিস্কুট সহযোগে চা আপ্যায়ন করে আমাকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাঠের দিকে বেরিয়ে পড়ল সে। মাঠে দুই ছেলে কাজ করছিল। তাদের সঙ্গে দেখা হল, কথা হল। কীসের চাষ করেনি শিবু! শাকসব্জি, গাঁদাফুল, লঙ্কা, আদা, হলুদ, মুলো, সরষে এমন হরেক রকমের চাষ। মাঠে নিজের সাব-মার্সিবল আছে। তার থেকে ফসলে জল দেয়। দেখতে দেখতে মন জুড়িয়ে গেল। সত্যিই অনেক কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে বাজারে বয়ে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দুটো পয়সা উপার্জন করে শিবুরা। আমরা সেইসব সবজি দামাদাম করে সস্তায় কিনতে আপ্রাণ চেষ্টা করি। শিবুর সঙ্গে আমিও অনেক দামাদাম করেছি। সবকিছু দেখে মনে হল, ওদের শ্রমের মূল্য দেওয়া যাবে না। সেদিন ঘনিষ্ঠভাবে ওর চাষ পরিক্রমা করতে গিয়ে অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।

বেলা বারোটা পেরিয়েছে। এবার বাড়ি ফিরতে হবে। বললাম, ‘শিবুদা, অনেক কিছু দেখলাম। অনেক কিছু জানতেও পারলাম। ভাল লাগল। আজ তাহলে আসি।’

শিবু পরম আগ্রহে বলে উঠল, ‘তাই কখনো হয় নাকি! আপনি আজ আমার বাড়িতে অতিথি। আজ আমার বাড়িতে ভাত খেয়ে যেতে হবে। পুকুরের মাছ, চাষের সবজি আর চাষের চালের ভাত না খেলে ছাড়ছি না।’

আগে থেকে এমন কোনো কথা ছিল না। বাড়িতে গিয়ে লাঞ্চ সারব সেকথা বলে এসেছি। শিবুর কথা ঠেলতে না পেরে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিলাম। ফেরার সময় ওর চাষের কিছু সবজি ব্যাগে ভরে আমাকে দিল। আমি বাড়ির পথে রওনা দিলাম। কৃষক তার খাটুনির সঠিক মজুরি পায় না। ফসলের সঠিক দাম পায় না। তাই নিয়ে অনেক ক্ষোভ আছে। তবুও অতিথি আপ্যায়নে আন্তরিকতার অভাব নেই।