ঘূণপোকা

দরদর করে ঘামছিল জবামাসি। বাইরের ঘরে টেবিল-ফ্যানটায় টানা আওয়াজ ঘট্যাংঘট। মা নির্বিকার চোখে মোড়ায় বসে। জবামাসি হয়তো বুঝে গেল না বলা কথাগুলো। কাঁধের ব্যাগটা তুলে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, চলি তাহলে ফুলদি। তোরা ভালো থাকিস। আমার খুব ইচ্ছে করছিল মা বলুক, জবা দুপুরে খেয়ে যা। রোদ মরলে বেরোস ক্ষণ। কিন্তু মা কিছুই বলল না। মায়ের উপর দিয়ে কাজ করতে আমরা কেউই শিখিনি তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম টগবগে রোদ্দুরের ভিতর জবা মাসি কালোছাতাটা মাথায় দিয়ে নেমে পড়ল। আমি বারান্দায় এসে দেখলাম খানিকপর মাসি ঝাপসা হয়ে গেল। আসলে তো জবামাসি হেঁটেই যাচ্ছে কেবল আমি দেখতে পাচ্ছি না। মেসো মারা যাবার পর এই প্রথম মাসি আমাদের বাড়ি এল। বাইরের ঘরের চেয়ারে বসে শুকনো হাসল। রান্নাঘরে আলু দিয়ে পাবদার ঝোল টগবগ করে ফুটছে। মা একদৃষ্টে চেয়েছিল।

—ফুলদি, তোর বাড়িতে তো মাসিমার ঘরটা এখন ফাঁকা। আমি তিতাস আর তিথিকে নিয়ে এখানে যদি ক’টা দিন থাকি খুব অসুবিধা হবে রে? আসলে সত্যেনের অফিস থেকে এখনও কোনো টাকা পাইনি আর পাব কিনা তাও জানিনা। আমি ঠিক বুঝতেও পারছি না কী করে সংসার চালাব। তুই ছাড়া আর তো কেউ নেই, তাই!

জবামাসি মায়ের খুড়তুতো বোন। আমার মামাবাড়িতে কেউই জবামাসির সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। অত ছোটোবেলায় আমি জানতাম না কী এমন দোষ করেছিল মাসি। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছি জবামাসির বিয়েটা আসলে আইনসিদ্ধ ছিল না কোনোদিন। এক স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয় বিবাহ সমাজ মানে না, আইনও না। মা আর জবামাসি প্রায় সমবয়েসী তাই মায়ের সঙ্গে টিমটিমে একটা সম্পর্ক ছিল বটে। যদিও মামাবাড়িতে গেলেই সব মামিমা আর আমার অন্যান্য মাসিরা ছেঁকে ধরত মাকে, জবার গল্প বল ফুল। আসলে রসালো কিছু আবিষ্কার করতে চাইত হয়তো। মা নির্লিপ্ত ভাবে বলত, বলার কী আছে? এক বউ থাকতে যখন জবাকে বিয়ে করেছে তখন বিশেষ আদিখ্যেতা থাকাই স্বাভাবিক। রান্নাঘরে হাতে হাতে কাজ করা, বাচ্চাদের জন্য সময় দেওয়া সবই করে। ভালোই আছে জবা। অন্তত আমাদের চেয়ে ভালো আছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তোদের বরেরা চপমুড়ি, চাউমিন এসব খায় তোদের সঙ্গে? ওর বর খায়। প্রতি সপ্তাহে ঘুরতে যাওয়া জুটেছে কোনোদিন? তাহলে ওই জবার গল্প শুনতেও চাস না, শুধু শুধু জ্বলবি।


আমার খুব অবাক লাগত, মাকে বুঝতে পারতাম না আমি। জবামাসির বাড়ি গেলে মেসো মাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করত, বলত, আপনি সম্মানে বড় প্রণাম তো করতেই হবে ফুলদি। সম্মান সবার আগে। সারাদিন হৈ হৈ করে কাটত আমাদের। দেখতাম মেসো থেকে থেকেই, ও জবা, জবা! বলে মাসিকে অকারণেই ডাকত। মায়ের চোখে একটা আশ্চর্য ভাব ফুটে উঠত তখন। জবামাসির বাড়ি থেকে এসে দু-তিনদিন মায়ের মেজাজ সপ্তমে থাকত। আমি, বাবা, বোন তটস্থ হয়ে থাকতাম। পান থেকে চুন খসলেই ঝড় আছড়ে পড়ত।

—লজ্জা করে না, তিতাসের পা ধোয়া জল খাগে যা।
বাবাও ছাড় পেত না, মা ধরা গলায় চিল্লাত, সারাজীবন খাটিয়ে মারলে, আমি বলে এত সহ্য করলাম। আর কোনো মেয়ে এত সহ্য করত না। উফ্ আমাকে পুরো নিংড়ে নিলে বিনিময়ে কিচ্ছু পেলাম না, কিচ্ছু না।

আমার মায়ের জন্য খুব কষ্ট হত। মনে হত মা কী পেতে চেয়েছিল যা পেল না? হয়তো বাবাও একই কথা জানতে চেয়েছিল। মা তীব্রভাবে ঝনঝন করে উঠত, জবার মতো যা ইচ্ছা তাই করে কি বাঁচতে পারি হ্যাঁ? যখন খুশি বরের সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে, যা খুশি রান্না করছে খাচ্ছে। আমাকে তো সারাজীবন তোমার বাবা মার পদসেবা করে, তাদের জন্য রান্না করেই কাটিয়ে দিতে হল। রসুন ফোড়ন দিয়ে শাক ভালোবাসতাম সেটা পর্যন্ত খেতে পারি না। আমি বাবাকে অনেক পরে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আচ্ছা বাবা মায়ের মনোমতো রান্না এ বাড়িতে হয় কেন? বাবা আমায় কাছে টেনে আদর করে বলেছিল, বিনুমা, সব সময় মনে রেখো, খুশি হতে জানতে হয়, না হলে খুব বিপদ। কী পেলে আর কী পেলে না, তার চেয়ে অনেক বড়ো কথা আছে জীবনে ভাববার মতো।
বাবার কথা আমার খুব ভালো লাগত কিন্তু মার জন্যেও কষ্ট হত। মনে হত জবামাসি মার চেয়ে অনেক ভালো আছে। মায়ের গায়ে দামি শাড়ি, দামি গয়না মৃদু পারফিউম সবকিছু সাধারণ বা মধ্যমানের সজ্জিত জবামাসির কাছে হেরে ভূত হয়ে থাকত। কী যেন একটা ওর মুখে আলো হয়ে ঘুরে বেড়ায়। অসহ্য গরমের দুপুরে মাসি যখন থাকতে চাইল, মা প্রথমে নিশ্চুপ থাকল কিছুক্ষণ তারপর অতি ধীরে বলল, তা কী করে হয় জবা? তিনটে মানুষের দায়িত্ব নেবার মতো সামর্থ্য আমার নেই, তাছাড়া তুই আমার এখানে থেকে আলাদা রান্না করে খাবি সেও আমার পক্ষে নিন্দার। বরং আমার মনে হয় তুই কোনো বস্তি অঞ্চলে ঘর ভাড়া নে, কমে হয়ে যাবে। তাছাড়া তুই রান্না করতে পারিস খুব ভালো, কারো বাড়ি বা মেসে বা হোটেলেও রান্নার কাজ পেতে পারিস।

আমি দরজায় দাঁড়িয়ে মাসিকে দেখছিলাম। ফর্সা টুকটুকে মাসি এই প্রচণ্ড গরমে দরদর করে ঘামছে, ঘাড় অবধি যত্নে ছাঁটা চুলগুলো এই একমাসের মধ্যে বেশ খানিকটা বড় হয়ে গিয়েছে। উঁচু করে ক্লিপ দিয়ে বাঁধায় মাসিকে অল্প বয়েসী দেখাচ্ছে। যদিও হালকা বেগুনি রঙা শাড়ি আর কালো ব্লাউজ তাকে কিছুটা ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। আমি মাসিকে কাঁচের গ্লাসে জল আর একটা ছোট্ট ডিশে দুটো মিষ্টি আর কাজুবাদাম দিলাম। এখন বাড়িতে কেউ এলে আমি এগুলো দিই। এবছর আমি ক্লাস টেন। সামনের বছর ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক। সত্যেন মেসো মারা যাবার আগে বেশ কয়েক মাস ধরে আমায় অঙ্ক করাতে আসছিল। নিজে থেকেই। সপ্তাহে দুই দিন। নিজেই বলেছিল, বিনুর মাথা খুব ভালো, ওকে অঙ্কটা একটু যত্ন করে দেখাতে হবে। আমিই আসব সময় পেলে। মেসো এলে মা এটা ওটা রেঁধে খেতে দিত। কিন্তু মেসো চমৎকার হেসে বলত, ফুলদি একটা টিফিন বাক্সে দিয়ে দিন, বাড়ি গিয়ে সবাই মিলে খাব। তারপর মেতে যেত অঙ্কে। মা টুকটাক কথা বলত, আসত কিন্তু, অঙ্কে ডুবে থাকা মেসো কোনো কথাই যেন শুনত না। আমার খুব ভালো লাগত মেসোর অঙ্ক করানো, এত সহজে বুঝিয়ে দিত। স্কুলেও দিদিমণিরা খুশি হচ্ছিলেন আমার পারফরম্যান্স দেখে। সেদিন সম্ভবত বৃষ্টি হচ্ছিল। মার্চের মাঝামাঝি একদিন। শীত পুরোপুরি যায়নি। বাবা তখনও বাড়ি ফেরেনি। মেসো একটু তাড়াতাড়ি পড়ানো শেষ করে বলল, বিনু আজ আমি একটু আগেই ছেড়ে দিলাম। বৃষ্টি হলে তোমার মাসির খিচুড়ি আর বেগুনির ঝোঁক ওঠে। তুমি কিন্তু আরও একটু প্র্যাকটিস করে তবে উঠবে কেমন! মেসোকে মা দরজা খুলে দিতে গেল। আমি তখন জানলায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছি। শুনলাম মা ধরা-গলায় বলছে, তোমার দাদার এখনও বাড়ি ফেরার নাম নেই বুঝতে পারছ তো কী নিয়ে ঘর করি, সারাজীবন একাই থেকে গেলাম, কদর পেলাম না। আমার বড়মেয়েটাকে যে একটু দেখে দিচ্ছ এর জন্য তোমায় কী জানাব, ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা না ভালোবাসা! মেসো রেনকোট পরতে পরতে বলল, ফুলদি আমার প্রথম বউয়ের কাছে আমি কখনও ফিরতে চাইতাম না, এত অভিযোগ এত খোঁটা যে দম বন্ধ হয়ে আসত। আমি যথেষ্ট উপার্জন করতাম তখনও, এখন তো উপার্জনের অর্ধেক ওই মহিলাকে পাঠাতে হয় অর্ধেকে চলে আপনার বোনের জীবন কিন্তু ওর কিছুতেই অভিযোগ নেই। তাই ওর কাছে ফেরার তাগিদ ভিতর থেকে আসে। ভাববেন না কথা শোনাচ্ছি। সত্যি বললাম।

আমার কেন জানি না সেদিন বাবার কথাটাই মনে পড়ছিল, খুশি হতে জানতে হয়। আমার মন খুব খারাপ ছিল সেদিন, মনে হচ্ছিল মা কি নিজের সম্মান রক্ষা করতে পারছে না? কিন্তু মেয়ে হয়ে মাকে বলা ঠিক নয় এটুকু আমি বুঝেছিলাম। এইদিনের পর থেকে মেসো রবিবার সকালে আসতে শুরু করল। রবিবার বাবা বাড়িতেই থাকে। সকাল ন’টার মধ্যে এসে বারোটা পর্যন্ত মেসো আমার সঙ্গে অঙ্ক করত আর ভৌতবিজ্ঞানটাও আমি কোথাও আটকে গেলে বুঝিয়ে দিত। ফেরার সময় বাবার সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করে চলে যেত। মা চা বিস্কুট দেওয়া ছাড়া সামনে বিশেষ আসত না। বরং মেসো চলে যেতেই, তুমি কি মাধ্যমিকের অঙ্কটাও পারো না? বাবা মুচকি হেসে বলত, মাস্টার বিয়ে করলেই পারতে হঠাৎ ব্যবসায়ী বিয়ে করলে কেন? যে কিনা কোনো রকমে গ্রাজুয়েট হয়েছে।

জবামাসি মায়ের জবাব শুনে যে খুব কষ্ট পেয়েছে বুঝতে পারছিলাম। মাসি প্রথমে কোনো জবাব দিতেই পারছিল না। আমি দরজা থেকে চট করে সরে গিয়েছিলাম। মাসি নিজের আত্মসম্মান বেচে দিয়ে হতদরিদ্রের মতো বলল, যদি আরেকবার ভাবিস ফুলদি। ছেলেমেয়েগুলো নিয়ে নইলে আমায় পথে বসতে হবে।

আমার চোখ দিয়ে এত জল কেন পড়ছিল? আমি বাবার ঘরে গিয়ে দেখলাম বাবা তার মায়ের ছবির দিকে চেয়ে রয়েছে। বাবার চোখে জল। ফিসফিস করে বললাম, বাবা কিছু কি করা যায় না? তিতাস, তিথি কী খাবে বাবা? কোথায় থাকবে এত গরমে? বাবা আমার মাথায় হাত দিয়ে বলল, কারোর জন্য কিছু করতে চেয়ে অন্যের দয়া ভিক্ষা করো না। নিজেকে যোগ্য করে তোলো। বড় হলে বুঝবে আমি কেন তোমার মাসিকে আশ্রয় দিতে পারলাম না? কেন পারলাম না তোমার মায়ের বিরুদ্ধে যেতে।
জবামাসি জীবন থেকে মুছে যেতেই পারত, কিন্তু গেল না। ঘূণপোকার মতো মার মনের ভিতর রয়ে গেল। থেকে থেকেই মা আমায় বলত, কী দেখছিস ওমন করে? আমায় কালপ্রিট ভাবছিস? বাড়িতে তিনটে পেট এলে তখন টের পেতি। ভালো মন্দ খাওয়া ঘুচে যেত। আমি কিছুই বলতাম না। মেসোর হাতের লেখায় হাত বুলাতাম। রাতের পর রাত অঙ্ক করতাম। একদিন মা যখন বাবার উপর অকারণে নানা কথা বলে চলেছে, খুব দরদ তাই না! বুঝিনা, না! লুকিয়ে লুকিয়ে ঠিক যোগাযোগ রাখো তাই না! বাবা কপালে দু’হাত ঠেকিয়ে মাথা নীচু করে বসেছিল। আমি অসভ্যতা করে বসলাম।

—মা! ঠাকুমা, দাদান দুজনেই পৃথিবীতে নেই, তবু তোমার এত অসুখ কেন মা! তুমি কি বোঝো না তুমি সুখী নও নিজের মনের কারণে।

চিৎকারে ফেটে পড়ল মা, কী কী বললি, যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা! জানিস ওই নোংরা মেয়েছেলেটার জন্য কত করেছি। কেউ সম্পর্ক রাখেনি আমি ছাড়া। কতদিন খাইয়েছি ওদের, যখন দরকার হয়েছে টাকা দিয়েছি, উপহার দিয়েছি আর আমার মন নিয়ে কথা বলছিস? মা ছুটে এসে আমায় টেনে চড় কষিয়ে দিল। বোন এখন একটু বুঝতে শিখেছে, ক্লাস ফাইভ। তবু ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলল। আমি দমে গেলাম না, বলে ফেললাম, সব তোমার লোক দেখানো, প্রশংসা পাবার ছলনা মাত্র। মনের ভিতর চিরকাল হিংসা পুষে রেখেছ। তাই তুমি নিজেও সুখী নও আর তোমার পাশে থাকা কোনো মানুষ সূখী নয়। মা হুঙ্কার দিয়ে উঠল, বিনু ওই মেয়েছেলের সঙ্গে আমার তুলনা?

—না, মা তা হতেই পারেনা। জবামাসির সঙ্গে তোমার তুলনা চলে না। তোমার মতো নিষ্ঠুর, আত্মসম্মানহীন সে কখনই নয়।
দীর্ঘ সময় মায়ের তাণ্ডব চলেছে বাড়ি জুড়ে। আমি দরজা বন্ধ করে কেঁদেছি, কেন বললাম মাকে এসব, কেন? কিন্তু জবামাসির ওই চলে যাওয়া আমি যে ভুলতে পারিনি। মাধ্যমিকে বিরাশি পারসেন্ট পেলাম, অঙ্কে নব্বই। বাবাকে আড়ালে বললাম, জানো বাবা জবামাসি কোথায় থাকে? বাবা ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে বলল, না রে বিনু, লুকিয়ে চুরিয়ে বেঁচে থাকা বড্ড যন্ত্রণার, তাই আমি সত্যিই কোনো যোগাযোগ রাখিনি। কত দ্রুত জীবন বদলে যায়। মা এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো আমাদের মাঝে রয়ে গেল।

শাপশাপান্ত আর অকারণ অশান্তি। আমরা কেউ কখনও জবামাসির নাম উচ্চারণ করিনা তবু অদৃশ্য সেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে মা ভুলতে পারে না। বাবাকে বলেছিলাম, বাবা এও কি একপ্রকার আত্মগ্লানি? বাবা নীরবে শান্তিনিকেতন খুলে পড়তে শুরু করেছেন। আমরা কখনো কোনোদিন জবামাসির খবর পাইনি, খবর নিইনি মাকে ভালো রাখতে চেয়ে। তবু আমি এখনও বারান্দায় দাঁড়ালেই দেখতে পাই, জবামাসি প্রখর দাবদাহে একটা জীর্ণ ছাতা মাথায় ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। মাসি হাঁটছে, চলছে, কেবল আমি দেখতে পাচ্ছি না।