ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পরিষেবা অনেক আগেই চালু হয়ে গিয়েছে। কয়েকমাস আগেই এই রুটের অপার প্রান্ত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা চালু হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে গঙ্গার তলা দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন। কিন্তু শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা এখনও চালু হল না। এর পিছনে মূল কারণ বউবাজারের ঘিঞ্জি বসতি এলাকা।
প্রসঙ্গত গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে এখানে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজ করতে গিয়ে নানা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। ভূগর্ভে খনন কাজ করার সময় বারবার ধস নেমেছে এইসব এলাকায়। যার জেরে এই রুটের সংলগ্ন একাধিক বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু পরিবার দীর্ঘদিন ঘরছাড়া। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বৌবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের গৃহ নির্মাণ বা সংস্কারের পাশাপাশি, অস্থায়ীভাবে বসবাসের বিকল্প ব্যবস্থাও করেছে।
এরকম পরিস্থিতিতে খুব সাবধানতার সঙ্গে কাজ করছে কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যাতে পুনরায় কোনও বিপর্যয় নেমে না আসে। কলকাতা মেট্রো পরিষেবার ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খুব দ্রুত এই রুট চালু করার চেষ্টা চলছে। নতুন করে যাতে বিপর্যয় নেমে না আসে, সেজন্য সব ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টা ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই রুট সম্পূর্ণভাবে চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কবে বা কোন দিনে এই পরিষেবা শুরু করা যাবে, সেবিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, মেট্রো রেলের পরিকল্পনা ছিল এই রুটটি শিয়ালদহ থেকে সেন্ট্রাল হয়ে টি বোর্ড দিয়ে হাওড়া ময়দানে যাবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রুটটি বউ বাজার দিয়ে ঘুরিয়ে দেন। বৌ বাজারের ঘিঞ্জি বসতি এলাকায় সুড়ঙ্গ খননের সময় বাড়িগুলিতে ধস নেমে বিপর্যয় ঘটে। মেট্রো সম্প্রসারণের কাজও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। যার ফলে এই রুটের পরিষেবা শুরু হতেও দেরি হচ্ছে।