বাড়িতে বয়স্ক বাবা। মা হৃদরোগে আক্রান্ত। সেই কারণে বাড়ির সামনে বাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করেছিলেন যুবক। আর তাতেই জুটলো বেধড়ক মার। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানার আনন্দ পালিত রোডে। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ওই এলকার বাসিন্দা দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন রাতে বাড়ির পিছন দিকের সরু গলিতে বাজি ফাটাচ্ছিলো বেশ কয়েকজন যুবক। বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত মা রয়েছেন, তাঁর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তাই বাজি ফাটাতে বারণ করেছিল ছেলে সায়ন কুণ্ডু (৩০)। অভিযোগ, বাজি ফাটানোতে প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় বচসা। তারপর রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারা হয় সায়ন কুণ্ডু নামের ওই যুবককে। অভিযোগ, ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মাথা। শুধু তাই নয়, ছেলেকে মারছে দেখে প্রতিবাদ করতে এসেছিলেন বাবা সুশীল কুণ্ডু। তাঁকেই বাঁশ দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে।
সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। অন্যদিকে মারধরের ঘটনায় এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে রাজু রায় এবং সুজয় রায় নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
অন্যদিকে ঠিক রবিবার রাতে একই রকম আরও একটি ঘটনা ঘটেছে গল্ফগ্রিন থানার ৩/৯১ আজাদগড়ে। সূত্রের খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য (৫৯) নামে এক প্রৌঢ়ের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাচ্ছিলো এলাকার কয়েকজন যুবক। বাড়িতে অসুস্থ কাকার সমস্যা হওয়ায়, বাড়ির সামনে বাজি ফাটাতে বারণ করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, বারণ না শুনে উলটে তাঁকে মারধর করা হয়। গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই এলাকারই বাসিন্দা সঞ্জয় পাল এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রৌঢ় ই-মেইল মারফৎ অভিযোগ দায়ের করেছেন ডেপুটি কমিশনার (যাদবপুর) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্তের কাছে।